শিরোনাম
◈ নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির জয়: কেন ক্ষুব্ধ মোদি সমর্থকেরা? আল–জাজিরার প্রতিবেদন ◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় যশোরের ব্যস্ত ক্রীড়াঙ্গণে সুনসান নীরবতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] যশোরের শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়াম দেশের অন্যতম একটি স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটিতে সারা বছরজুড়ে কোন না কোন ইভেন্টের খেলা চলে। হোক সেটি ক্রিকেট কিংবা ফুটবল। দু’টি ইভেন্টের বিভিন্ন টুর্নামেন্টের খেলা সময়ের ব্যবধানে মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাঠ প্রায় ব্যস্ত থাকে।

[৩] প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে থামিয়ে দিয়েছে সকল খেলাধুলা। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ভলিবল গ্রাউন্ড, জিমনেসিয়াম, ব্যায়ামাগার, আমেনা খাতুন ক্রিকেট গ্যালারি ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ডও বন্ধ রয়েছে। খেলা বন্ধ থাকার পাশাপাশি বিকেলে সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়রা ফুটবল খেলতেন বা শারিরিক কসরত করতেন-সেটিও এখন বন্ধ রয়েছে।

[৪] অন্য সময়ে মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকতো স্টেডিয়াম। এমনকি পাশে এমএম কলেজের হোস্টেলের শিক্ষার্থীরাও স্টেডিয়ামে খেলাধুলা করতেন বা সময় কাটাতেন। তবে করোনার কারণে স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকা পুরো ফাঁকা, নীরবতা।

[৫] ব্যস্ত স্টেডিয়ামের ফটকে ঝুলছে তালা। স্টেডিয়ামের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও নিয়মিত অফিস করছেন না। বাড়িতে বসে জরুরি কাজের পাশাপাশি অলস সময় কাটাচ্ছেন। ভাইরাসের কারণে যশোরের ক্রীড়াঙ্গণে বিরাজ করছে নীরবতা। ক্রিকেটের ব্যাট-বল কিংবা ফুটবলের বুটের আওয়াজ এখন শোনা যায় না।

[৬] সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে যশোরে সবধরনের খেলা বন্ধ রাখায় ক্রীড়াঙ্গণের ক্ষতির পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেলোয়াড়রাও। যশোর ক্রীড়াঙ্গণের কর্মকর্তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে কারো কিছু করার নেই। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির বলেন, ‘বিকেল হলে মাঠে (স্টেডিয়ামে) না গেলে ভালো লাগতো না। এখন তিন মাস হলো স্টেডিয়ামে যাই না। বাসায় বসে সময় পার করছি। এমন পরিস্থিতিতে কারো কিছু করার নেই। সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’

[৭] তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ কেটে গেলে আবারও সরগরম হবে যশোরের ক্রীড়াঙ্গণ। করোনার প্রভাবে সরকারি সিদ্ধান্তে যশোরে সবধরনের খেলা বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় খেলা মাঠে ফিরবে বলে আশা করি। পাশাপাশি স্টেডিয়ামেও ফিরে আসবে মুখরতা।’

[৮] যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সকল খেলা বন্ধ রয়েছে। একের পর এক লিগ, টুর্নামেন্ট চলে যশোরের স্টেডিয়ামে। করোনাভাইরাসের কারণে এখানেও সকল খেলা বন্ধ রয়েছে। খেলা না থাকায় মাঠে আসা হয় না। যে কারণে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের পদচারনা নেই স্টেডিয়ামে। সুনসান নীরবতা স্টেডিয়াম এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বলার নেই। পরিস্থিতি ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়