লিহান লিমা: [২] কিং কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ৯০ জনেরও বেশি রোগীর ইমিউনিটি নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তি ইমিউনিটি হারিয়ে ফেলে। ডেইলি মেইল।
[৩] গবেষকরা দেখেন, করোনার সংক্রমণ দেখা যাওয়ার তিন সপ্তাহ পর অ্যান্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা যায়, কিন্তু আবার পরবর্তী ৫ সপ্তাহের মধ্যেই এটি মিলিয়ে যায়। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং মাত্র ১৭ শতাংশ এটিকে ৩ মাস পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন।
[৪] এই গবেষণা ‘হার্ড ইমিউনিটি’র ধারণাকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া ছাড়াও করোনার টিকার গবেষণাকেও কঠিন করেছে। যদি এটি সত্যি হয়, তবে টিকা আবিষ্কারের জন্য ভিন্ন পথ খুঁজতে হবে। কারণ টিকা দীর্ঘ মেয়াদে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে না। টিকা আবিষ্কার হলেও প্রতিবছরই এটি হালনাগাদ করতে হবে। ইয়ন।
[৫] অক্সর্ফোডের গবেষকরা ইতোমধ্যেই বলেছেন, কিছু প্রাণীর ওপর পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগে দেখা গেছে এটি তাদের অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে কিন্তু করোনার সংক্রমণ বা এটি ছড়ানো থেকে নয়।
[৬] অন্যদিকে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ ব্যক্তির ফুসফুসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মৃদু করোনায় রোগীর মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হয়। ৬৯টি দেশের ১ হাজার ২৬১ জন রোগীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ বলেছেন, তাদের হার্টে অসঙ্গতিমূলক পরিবর্তন এসেছে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন বলছে, ৭জনের মধ্যে ১ জনের হার্টে সমস্যা দেখা দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান