কায়সার হামিদ : [২] কক্সবাজারের উখিয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। বিজিবির দাবি, তারা সবাই মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। এসময় তিন লাখ পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় পাইপগান ও পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ভোর রাত ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলী জলিলের ঘোনা ব্রিজের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
[৪] নিহত হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া জিরোপয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত জুলুর মুল্লুকের ছেলে নুর আলম (৪৫), উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ এর জি/২৯ ব্লকের মো. গোরা মিয়ার ছেলে মো. হামিদ (২৫) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের-২ এর ডি-৪ ব্লকের মো. সৈয়দ হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৫)।
বিজিবি দাবি করছে, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৫] কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, সীমান্তের তুমব্রু বিওপির একটি দল টহল দেওয়ার সময় দেখতে পায়, মিয়ানমার থেকে পাহাড়ি পথে ১০-১২ জন লোক বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। এসময় বিওপির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি সদস্যদের দিকে গুলি করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি’র সদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। এক পর্যায়ে হামলাকারিরা পাহাড়ের জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে তিন লাখ পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় পাইপগান ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। একইসঙ্গে তিন জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আহত অবস্থায় তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে বিজিবি।
[৬] বিজিবি কর্মকর্তা আরও বলেন, বিজিবি বিষয়টি উখিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশের একটি দল উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
[৭] উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি হতে ৯ জুলাই পর্যন্ত বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ পিস ইয়াবাসহ ৮৯ জন কে আটক করে। এছাড়াও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৯ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :