শরীফ শাওন : [২] জাতিসংঘের জলবায়ু কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গার অ্যান্ডারসন বলেন, অ্যানথ্রাক্স, গবাদিপশুর যক্ষ্মা এবং জলাতঙ্কের মতো রোগের প্রাদুর্ভাবে এসব মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগে কোভিড-১৯ এর আগ পর্যন্ত দুই দশকে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। গত শতাব্দীতে অন্তত ৬টি নোবেল করোনাভাইরাসের বিস্তার দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, মানবদেহের ২৫ শতাংশ সংক্রামক রোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাঁধ, সেচ ও কারখানা প্রতিষ্ঠানের।
[৩] সোমবার জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, কোভিডের আগে প্রাণী থেমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া কিছু রোগের মধ্যে রয়েছে, ইবোলা, ওয়েস্ট নীল ভাইরাস এবং সার্স। বিবিসি
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণী থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানবদেহে এসকল রোগ ছড়ায় না, পরিবেশ অবমূল্যায়নের মাধ্যমে ছড়ায়। ভূমি ও বন্যপ্রাণী ধ্বংস, খনিজ আহরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রাণী ও মানুষের মিথস্ক্রিয়ার উপায় পাল্টে দেয়। প্রাণী থেকে মানবদেহে রোগ সংক্রমণ বাড়ছে। প্রাণীজ প্রোটিনের তীব্র চাহিদা ও টেকসইহীন কৃষিকাজ বেড়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বাড়ছে কোভিডের মত রোগ। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও পরিবেশ রক্ষার পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এর প্রকোপ বাড়তে থাকবে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব