আরিফুজ্জামান তুহিন: বিপ্লব ছাড়া বাংলাদেশকে দক্ষিণ কোরিয়া বা পশ্চিম জার্মানির মতো দ্রুত ওপরে ওঠার একটা পরামর্শ দিই। পরামর্শের জন্য ফি লাগবে না। সেটি হলো চীনা ব্লকে যাওয়া। বলবেন আপনি চীনাপন্থি সে কারণে চীনের কথা বলছেন। প্রথমত, আমি যে চীনের ভক্ত সেটি মাও সেতুং মরে যাওয়ার পর ভূত হয়েই কেবল আমার বিছানার পাশে রেডবুক, মাও সমগ্র হয়ে শুয়ে থাকে। এই চীনের সাথে মাও এর চীনের কোনো সম্পর্ক নেই। বলতে পারেন এটি জাতীয় মুক্তির বিপ্লব না করে একটি দ্রুত ফাঁকি দিয়ে ওপরে ওঠার পরামর্শ। চীনের ব্লকে গেলে চীন তার নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো জায়গাতে নিয়ে যাবে। এমন কী রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বাদে আরও যেগুলো হবে সেখান থেকে ভবিষ্যতে পরমাণু বোমা বানানোর প্রযুক্তি দিতে পারে চীনারা গোপনে। শুধু সাবমেরিন নয়, কিংবা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে চীনা ট্রেনিং না, তারা একটি সত্যিকারে ক্ষিপ্র গতির সামরিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার সুযোগ দেবে। এর কারণ হলো, বাংলাদেশ যতো শক্তিশালী হবে ভারতের পরাশক্তি হওয়ার চান্স ততো কমে যাবে। এটাই চীনের লাভ। আগে চীন ঘেরাও হওয়ার ভয়ে থাকত, এখন ভারতকে ঘেরাও করার শুধু নীতি না বাস্তব কর্মসূচি নিয়েছে চীন।
দ্বিতীয়ত হলো অর্থনৈতিক। বাংলাদেশকে ভারতের চেয়ে আর্থিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশে পরিণত করবে চীন। এরও অন্যতম কারণ ভূ-রাজনীতি। এতে করে পিছিয়ে থাকা পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যর জনগণের কাছ থেকে ভয়াবহ চাপে পড়বে ভারত। টানাপোড়েন বাড়বে, এসব রাজ্যের মানুষদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি আরও জোরেশোরে উঠবে। তৃতীয়ত, আর্থিক, সামরিক, টেকনোলজির দিক থেকে চীন ভারত থেকে ২০০ বছর এগিয়ে আছে। যদি আপনি অন্যর ওপর ভর দিয়ে উঠতে চান, তাহলে আপনিতো দুর্বল রোগাগ্রস্ত কারওর হাত ধরতে পারবেন না। আপনাকে মোহাম্মদ আলীর মত ফাইটারের হাতই ধরতে হবে। আর এসব চীন করবে তার বিদেশ নীতির কারণে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই সে শুধু সুযোগটা নিতে পারে। আমার ধারণা এসবই ঘটবে আগামীতে। আর যারা বিপ্লব করে সমাজতন্ত্র আনতে চান তাদের জন্য লাল সালাম। ফেসবুক থেকে