সিরাজুল ইসলাম : [২] তার বয়স এখন ১৮ বছর। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, মুকিত হাসান, ওসি আখতার মোর্শেদের উপস্থিতে তাকে মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।
[৩] বরগুনার আমতলী উপজেলার টেপুড়া গ্রামের মতিন মুন্সির মেয়ে বিলকিস বেগমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পাশের পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর গ্রামের রুহুল আমিন খন্দকারের বিয়ে হয়। যৌতুকের জন্য বিয়ের পর থেকেই নির্যাতনের শিকার হন বিলকিস। এরমধ্যেই ছেলে মাইদুল ও মেয়ে তামান্নার জন্ম হয়। সাত বছর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়। দুই বাচ্চাকে নিয়ে বিলকিস চলে যান ঢাকার তুরাগে। কাজ নেন গার্মেন্টেস কারখানায়।
[৪] ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মোবাইল রিচার্জের দোকানে টাকা দিতে গিয়ে পথ হারায় মাইদুল। ঘুরতে ঘুরতে সে পৌঁছায় সদর ঘাটে। পটুয়াখালীর মকবুল হোসেন মাষ্টার মাইদুলকে অসহায় অবস্থায় পেয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। বিলকিস ২৬ ফেব্রুয়ারি তুরাগ থানায় জিডি করেন। মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।
[৫] মকবুল মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান পটুয়াখালী জজ কোর্টের সামনে তার ফটোস্ট্যাটের দোকানে কাজ দেয় মাইদুলকে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোস্তফা ও মাসুদের কাছে সে ঘটনা খুলে বলে। তারা মায়ের খোঁজ করতে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :