ইকবাল আনয়োর: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক নার্সদের দশা দেখলাম টিভিতে। ধন্যবাদ সাংবাদিকদের। তারা দেখালেন বলে। নয়তো এ সব চাকরি হারাবার ভয়ে কেউ বলতো না। চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। তাদের খাবার মান, নাস্তার নিম্নমান, ও পলিথিনে অস্বাস্থ্যকরভাবে পরিবেশনার অবস্থা অনেকটা প্রিজনারদের মতো। থাকাও তেমনই। ছয়শো টাকার হোটেলের চিপা গলি। রান্নার ঘরের স্লেবের নীচ দিয়ে যাতায়াত। একেতো কাজের চাপ, রোগীর অসন্তোষ, ধমক, তারপর এভাবে খুপড়িতে থাকা। সকালে নিতে বাস ঠিক মতো আসেনা। তারা হেঁটেই হাসপাতালে যায়। চৌদ্দদিন পরে চৌদ্দদিন অফ। তখন একবার রক্ত পরীক্ষা।
নেগেটিভ আসলে তারা একবার বাড়ি যায়, বাজার করে দিয়ে আসে, ভয়ে দেখা করে না, মিশে না পরিবারের সঙ্গে, থাকেও না। পজেটিভ হলে আইসোলেশন, ভালো হলে পুনচিকিৎসায় গমন বা মৃত্যু। প্রণোদনা, উৎসাহ, সম্মান, প্রশংসা এসব বাদ। বরং কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা। মিথ্যার জ্বালা। ডিজি অফিসের প্রকৃত এক কর্তাকে সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা অতো মাইক্রো লেবেলের খবর জানবো কী করে? আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। অরক্ষিত পিপিই’র কথা উঠলো এখানে বা অন্য চ্যনেলে। ওষুধ কম্পানির পিপিই না, এগুলোতে চলবে না, বাজার থেকে দেখে শোনে নিজেদেরকেই ভালো পিপিই ও মাস্ক কিনতে পরামর্শ দিলো একজন। ঢাকা মেডিকেলের দশা হলো এই। তবে অন্য খানের কি তা তো প্রতিবেদনে বলা হয়নি। ফেসবুক থেকে