মামুন-অর-রশিদ: [২] বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই অফিস সহায়ক (এমএলএসএস)কে তুলে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ চতুর্থশ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন শেবাচিম ইউনিট। তারা এঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছে।
[৩] এদিকে ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা তাদের এক নারী সহকর্মীকে উত্তক্তের অভিযোগ এনে ঐ দুই কর্মচারীর বিচার দাবী জানিয়েছেন। তাদের নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাদের।
[৪] পাল্টাপাল্টি অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
[৫] জানাগেছে, হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক গত ২৭ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ছিলেন। ২৮ জুন উল্লেখিত দুই অফিস সহায়ক তাদের এক করোনা আক্রান্ত সহকর্মী বাদশাকে দেখতে যান। সেখানে তারা ভুলক্রমে করোনাআক্রান্ত ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে খোঁজ করেন।
[৬] বিষয়টিকে উত্যক্ত উল্লেখ করে তিনি তার সহকর্মীদের মুঠো ফোনে জানান। এরপর ২৯ জুন রাতে দিদারুল ও নুরুল ইসলামকে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসে নিয়ে বিবস্ত্র করে অমানুসিক মারধর করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
[৭] হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সজল পান্ডে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং দিদার ও নুরুলের বিরুদ্ধে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নারী ইন্টার্নি চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ