লিহান লিমা: [২] শুক্রবার সকালে লাদাখের রাজধানী লেহতে বিশেষ বিমানে সফরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও সেনা প্রধান এসএস নারাভানে। আউটলুক ইন্ডিয়া।
[৩] সেনাঘাঁটিতে গিয়ে সামরিক কর্তাদের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মোদি। মোদি এলএসিতে প্রত্যেকটি ভারতীয় বাহিনীর সীমান্ত চৌকি পরিদর্শন করেন এবং সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৫ জুন রাতে গালওয়ানের সংঘর্ষে আহত সেনাদের সঙ্গেও লেহতে দেখা করেছেন মোদি।
[৪] ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সীমান্তের খুব কাছে দুর্গম নিমু এলাকায় পৌঁছান। জ্যানস্কর রেঞ্জের ওই এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ফুট উঁচু। সেখানে তিনি পদাতিক সেনা, বায়ুসেনা এবং আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ) এর কর্মীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এনডিটিভি
[৫] ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর লাদাখ সফরের উদ্দেশ্য চীনকে স্পষ্ট কৌশলগত হুঁশিয়ারি দেয়া। এছাড়া এই সফর সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের মনোবল বৃদ্ধি করবে।
[৬] গত দু মাস ধরেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমে বাড়ছিলো। গত ১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। চীন ক্ষয়ক্ষতির কোনো তালিকা প্রকাশ না করলেও ভারত বলছে এক কম্যান্ডিং অফিসার-সহ চীনের ৪৩ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। দ্য হিন্দু। সম্পাদনা: ইকবাল খান