মিনহাজুল আবেদীন : [২] দিন যতই যাচ্ছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার তত বাড়ছে। এছাড়া একের পর এক কল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। ফলে কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি, মৃতদের স্বজন ও বেকার ব্যক্তিদের মধ্যে বিষন্যতা তৈরি হচ্ছে। প্রথম আলো
[৩] মনোবিদ অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান বলেন, ‘করোনা মানুষকে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অনেকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। দিন যতই যাচ্ছে, এই প্রবণতাও বাড়ছে। অনেকেই কর্ম হারাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত হবে, একটি পরিকল্পনা তৈরি করা। সুনির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করা। যেখানে মাধ্যমে বেকারত্ব কমানোর পাশাপাশি কর্মের নিশ্চয়তা থাকবে।’ রাইজিংবিডি
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলেন, ‘অনেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এক ধরনের একাকিত্বে সময় কাটাচ্ছে। আবার অনেকে কর্মহীন হয়ে বেকার সময় পার করছে। আর এসব ঘটনা একজন মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই নানারকম দুশ্চিন্তার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এজন্য সবার প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে। ’
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, ‘সরকার একেক সময় একেক উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু কোনোটাই সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছে না। কারণ মানুষ ক্ষুধার্ত। তাদের মনে অস্থিরতা। মানুষের এসব সংকটের সমাধান করতে না পারলে সামাজিক কলহের পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতাও বাড়বে। তাই এখনই পরিকল্পনা করতে হবে।’