মহসীন কবির : [২] বুধবার (১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৮৮৮ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন এবং বাসায় ১৮ জন। ঢাকা বিভাগে ১৩ জন চট্টগ্রামের ১৭ জন, সিলেটের ২ জন, খুলনার ৫ জন, রংপুরের ১ জন এবং বরিশাল বিভাগের ৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
[৪] তিনি জানান, বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন।
[৫] অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ৬৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৬ হাজার ৮৯৮ জনের। এরমধ্যে আগের নমুনা মিলে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭৫ জনের। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫ জনের।
[৬] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুন্থ হয়েছেন ২৪৮৪ জন । মোট সুস্থ হয়েছেন ৬২১০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
[৭] নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৯৫৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ২৭ হাজার ৫৪২ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫৫ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৯৫ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।
[৮] আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।
[৯] দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।