লাইজুল ইসলাম, শিমুল মাহমুদ: [২]খাবার, পরিবহন, আবাসন ও বিবিধ খরচ মিলিয়ে এই ব্যয় [৩] চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার হিসেবে স্বচ্ছতায় কার্পণ্য হয়নি বলেছেন ঢামেক পরিচালক
[৪] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম নাসির উদ্দিন জানান, আমরা ২ মে থেকে হাসপাতাল চালু করেছি। মে এবং জুন মিলিয়ে খরচ ২০ কোটি টাকা। [৫] খাবার বাবদ জনপ্রতি প্রতিদিন ৫০০ টাকা, এতে মাসে ৩ কোটি লাগছে, কর্মচারীদের ক্ষেত্রে হোটেল ভাড়া ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। চিকিৎসক, নার্সদের বেশি লাগছে। মোট ৬ কোটি। এছাড়া যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ ১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ কোটি প্রতি মাসে।
[৬] সূত্র জানায়, ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে থাকা চিকিৎসকদের ব্যয় প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। হোটেল গিভেন্সি, হোটেল সুন্দরবন, হোটেল নিউ ইয়র্ক ও হোটেল লা ভিলা ওয়েস্টার্নে থাকছেন নার্সরা। কর্মচারিরা থাকছেন হোটেল আশিয়ানা, হোটেল মোনা, হোটেল গ্রীনে।
[৭] একে এম নাসির উদ্দিন বলেন, কোভিড চিকিৎসায় ২ শতাধিক চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, টেকনিশিয়ান, নিরাপত্তাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ২ হাজার লোক কাজ করছে।
[৮] এদের থাকা ও খাওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি হোটেল ভাড়া করে। তাদের যাতায়াতের জন্য ভাড়া করা হয়েছে বেশকিছু মাইক্রোবাস।
[৯] পরিচালক বলেন, হোটেল গুলো ঠিক করে দিয়েছে মূলত আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীরা। এছাড়া এখানে ৫ সদস্যের একটা কমিটি রয়েছে। যারা তাদের প্রতিনিধি দিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে হোটেল বুকিং করেছে।
[১০] এম নাসির উদ্দিন বলেন, মহামারির এ সময়ে যেখানে সবাইকে আলাদা রাখার কথা। সেখানে খরচ কমানোর জন্য সেটিও আমরা পারছি না। একেক রুমে দুইজন নার্স অথবা ৩ জন কর্মচারি অথবা এক জন চিকিৎসক থাকেন।
[১১] তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্স ৩ সিফটে ৭ দিন ডিউটি শেষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে যায়। এরপর টেস্ট করে যদি নেগেটিভ আসে তখন তারা পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটিয়ে আবার ডিউটিতে ফেরে। পজিটিভ হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
[১২] কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে, কারণ আমাদের এখানে ৫ ভাগের এক ভাগ লোক দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাই তাদের ক্ষেত্রে ১৪ দিন ডিউটি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন কোয়ন্টাই শেষে দুই দিন ছুটি।