দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরে। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং আইএনজিও কাজ করে যাচ্ছে। এই শিবিরগুলো করোনা ঝুঁকির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
[৩] তিনি জানান, গত ২৫ জুন তার একটি মন্তব্য প্রতিবেদন জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।শিরোনাম, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর উচ্চঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা’।
[৪]তিনি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে থাকছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। বিশ্বের যে কোনো শরণার্থী শিবিরের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। তাই শারীরিক দূরত্ব আর আইসোলেশনের (বিচ্ছিন্নকরণ) মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা এখানে রীতিমতো অসম্ভব।
[৫] তিনি জানান, ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় রোহিঙ্গাদের মৃত্যু ও আক্রান্তের যে সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছে শুনলে শিবিরের লোকজনের কাছে অস্পৃশ্য বিবেচিত হবেন, এই ভয়ে অনেকে উপসর্গ থাকার পরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কিংবা চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন না।