মাহবুব রনি : যে আপনারে আপন করতে চায় তাকে পর করবেন কোন বলে! বেশ সাবধানেই ছিলাম। তবুও আক্রান্ত হয়েই গেলাম। করোনাকে দূরে ঠেলে রাখা গেল না। ৪ জুন রাতে জ্বর আসে। ভাবলাম সাধারণ ভাইরাল জ্বর। চার দিনেও জ্বর কমেনি। সঙ্গে যুক্ত হল সর্দি কাশি। ৯ জুন নমুনা দিলাম। ১৩ তারিখ জানলাম কভিড-১৯ পজিটিভ। কিছু জটিলতা ছিল। আলহামদুলিল্লাহ। এখন বেশ ভালো। কাশি ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই। আজ দ্বিতীয়বার নমুনা দিলাম। আশা করি, ফলাফল নেগেটিভ আসবে। ডাক্তার বলেছেন, কাশি আরও দিন ১৫ থাকবে। ওষুধ নিচ্ছি। নেবুলাইজ করছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
কথা বললে কাশি বাড়ে। এমনকি হাসলেও। তাই অনেক ফোনকল রিসিভ করতে পারিনি। ক্ষমা করবেন। আগামী কয়েকদিনও কিছু কল রিসিভ করতে সমস্যা হতে পারে। সেটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
রোগ-অসুস্থতা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু যখন হাতে কাজ বেশি থাকে তখন অসুস্থতা অনেক বেশি ক্ষতি করে ফেলে। আশা করি, সেটিও কাটিয়ে উঠতে পারব।
আমি যে বিষয়গুলো কাভার করি তাতে জুন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। জনস্বার্থ এবং প্রশাসনিক- দুই দিক থেকেই অনেকগুলো নিউজ মিস করে ফেললাম। রিপোর্ট মিস করাটা আমাকে পীড়া দেয়।
সুস্থ থাকলে আরেকটা রিপোর্ট করতাম। মধ্যবিত্ত জীবন নিয়ে। করোনার আর্থিক ধাক্কা কেন মধ্যবিত্ত নিতে পারছে না- এ প্রশ্ন করছেন অনেকে। সঞ্চয় গড়েনি কেন! যে দেশে জমির দাম আকাশচুম্বী, বাসাভাড়া বল্গাহীন, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি লাগামহীন সেখানে মধ্যবিত্ত সঞ্চয় করবে কীভাবে- বলতে পারেন? পরিবারের একজন সদস্য গুরুতর অসুস্থ হলে প্রতিবছর কত মধ্যবিত্ত পরিবার সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ে- বলতে পারবেন?
সে যাক। এ করোনাকাল গেলে কিছু মানুষের নিশ্চয় পরিবর্তন ঘটবে। তবে সিংহভাগের হবে না- তা নিশ্চিত।
ফেসবুক থেকে