ডেস্ক রিপোর্ট : করোনার কারণে একের পর এক সিরিজ বাতিল হওয়ায় মানসিক চাপ পড়তে পারে ক্রিকেটারদের ওপর। এমনটাই আশঙ্কা সাবেক ক্রিকেটারদের। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি ফিটনেস ধরে রাখারও পরামর্শ তাদের। সময়টিভি
করোনার এই কালে সুনশান ক্রিকেটপাড়া। বছরের শুরুতে ব্যস্ততা ছিলো যা একটু। এরপর নেমে আসে করোনার খড়গ। যার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যায় ক্রিকেটের সব সিরিজ। মিরপুর থেকে লর্ডস। কার্ডিফ থেকে মুম্বাই। ক্রিকেটের সব মাঠেই ভর করেছে রাজ্যের শূন্যতা।
বিশ্ব ক্রিকেটের কথা না হয় তুলেই রাখা যাক। করোনাকালে বাংলাদেশের ক্রিকেট হারিয়েছে তার আপন সৌন্দর্য। চলতি বছর তিনটি বিদেশ সফর আর দুইটি হোম সিরিজের সবকটিই হয়েছে স্থগিত। এ বছর মাঠে নামা হবে কিনা টাইগারদের? তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
বছরের শুরুতে আংশিক পাকিস্তান হলেও এক ওয়ানডে এবং এক টেস্ট স্থগিত হয়। তবে নতুন সূচী অনুযায়ী আবার কবে হবে? তা জানা নেই কারোই।
গত মাসে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফরও আটকে গেছে। এরপর নিউজিল্যান্ড এবং সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরও এই তালিকায়। একের পর এক সিরিজ বাতিল হওয়ার প্রভাব পড়তে পারে ক্রিকেটারদের ওপর। মানসিকভাবে যা পিছিয়ে দিতে পারে টাইগারদের। আশঙ্কা সাবেকদের।
বাংলাদেশ সাবেক ক্রিকেটারের খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, এখন মাঠে খেলা হচ্ছে না। ক্রিকেটাররা বাসা রয়েছে। হয়-তো কিছু ক্রিকেটার ফিটনেস নিয়ে কাজ করছে; যেটা যথেষ্ট নয়। একই সঙ্গে এবছর মাঠে খেলা গড়ালে ক্রিকেটাররা বড় ধরনের মানসিক চাপে পড়বে।
চলতি বছর ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে আরও কয়েকটি অ্যাসাইনমেন্ট আছে তামিম-মুশফিকদের। এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে সামনে। তবে সেগুলোও দুলছে পেন্ডুলামের মতো। নির্ধারিত সময়ে গড়াবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান খোদ ক্রিকেটের বড় কর্তারাই।
তবে সাবেকদের চাওয়া আবারো চাঙা হবে দেশের ক্রিকেট। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান অনেকের।
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার তারেক আজিজ খান বলেন, আমাদের ক্রিকেটারদের মেন্টাল সাপোর্টটা বেশি দরকার। আমার মনে হয় মানসিকভাবে শক্ত হওয়াই খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। ফিজিক্যাল ওয়ার্কটা প্লেয়াররা যেভাবে পারছে করছে। একটা সিরিজ বাতিল হলে সেটা ক্রিকেটারের জন্য হতাশার। বর্তমান পরিস্থিতির উপর আমাদের হাত নেই। অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
ক্রিকেটের এলোমেলো ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে আবার কবে বাইশ গজে ছন্দ ফেরাবে বাংলারে টাইগাররা? এখন সে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
আপনার মতামত লিখুন :