 
    
মো. আখতারুজ্জামান : [২] বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন প্রথমবারের মতো দুই লাখ ৯৮ হাজার ২৬৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে (এক ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে)।
[৩] রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈধ্যপথে রেমিট্যান্স নিয়ে আসার জন্য নগদ প্রণোদনা, কাগপত্রের জামেলা কামানসহ বেশি কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে করোনার কারণে বর্তমানে আমদানি ব্যয়ের চাপ কম সেই সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক ঋণসহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত ৩ জুন প্রথমবারের মতো দেশের রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। এরপর একই মাসে রিজার্ভ বাড়লো আরো এক বিলিয়ন ডলার।
[৫] করোনাকালে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে খারাপ খবর। গত চার মাসে রফতানি নেমে গেছে তলানিতে। দেশের আমদানিও কমেছে তরতর করে। খারাপ খবরের ছড়াছড়ির মধ্যেও সুসংবাদ দিচ্ছেন প্রবাসীরা। চলতি জুনের প্রথম ১৮ দিনেই প্রবাসীরা দেশে ১২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। মে মাসে পাঠিয়েছেন ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থই দেশের রিজার্ভকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ৬৩৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আগের বছরের একই সময় পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ডলার। এ হিসাবে মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেশি আছে ১৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
