মো. আখতারুজ্জামান: [২] করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে টালমাটাল অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থা থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। তবে শিল্প অর্থনীতিতে মন্দা চলেও আশা জাগিয়েছে কৃষি অর্থনীতি। করোনাকালীন সময়ে বিনিয়োগ বেড়েছে দেশের কৃষি ভিত্তিক খাতে। শহর থেকে যারা গ্রামে চলে গেছে তারা এ সময়ে কৃষি জমির ব্যবহারে মনোযোগি হচ্ছে।
[৩] এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য, হাঁস মুরগি পালন, গরু পালন এসবে বিনিয়োগ বাড়বে। আমরা দীর্ঘ দিনে থেকে এটাই চেয়ে আসছিলাম যে গ্রামে বিনিয়োগ বাড়ুক। এতে দেশের অর্থনীতিসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর দ্রুত পরিবর্তন আসবে।
[৪] নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনাকালে আমাদের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখবে কৃষি। এ জন্য সরকারের উচিৎ হবে যারা কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ কবে তাদেরকে সহায়তা প্রদান করা। সেই সঙ্গে সরকারের কাজ হবে কৃষি পণ্য দেশের প্রত্যেকটি শহরে সরবরাহ করার ব্যবস্থা তদারকি করা। বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে সেটা আরোও ভালো।
[৫] এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্য ঝুকির কারণে মানুষ অনেকে কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে নতুন চাহিদা তৈরি হয়েছে। যারা আগে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেত এখন তারা জান না। তারা বাসায় বসে এসব তৈরি করছেন। আর এ জন্য তাদের রেডিমেট কৃষি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এখন প্রক্রিয়া করা মাছ, মুরগিসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য পাওয়া যায়।
[৬] তবে কৃষি খাতে নেতিবাচক কিছু দিকও রয়েছে। কারণ হিসেবে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সবাই মিলে যদি কৃষিতে বিনিয়োগ করতে চায় তখন কর্মসংস্থানের চাপ বাড়বে। তখন একজনের কাজ অনেক জনে করতে যাবে। দেখা যাবে, যে কাজ পাঁচ জনে করা যায় সেখানে ১০ জন করতেছে।