নূর মোহাম্মদ : [২] মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল। কুয়েতের আইন অনুযায়ী অর্থপাচার প্রমাণিত হলে ৭ বছরের সাজা হবে পাপুলের। সেই সাথে মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে ১৫ বছর। আর সেক্সুয়াল মানবপাচার প্রমাণিত হলে সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
[৩] গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে তার পদ থাকা নিয়ে। সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন সংসদ সদস্য নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে কমপক্ষে দুই বছরের সাজা প্রাপ্ত হলে তার পদ বাতিল হবে।
[৪] দণ্ডবিধির ৩ ধারা অনুযায়ী কোন বাংলাদেশি অন্য দেশে কোন অপরাধ করলে এখানে তার বিচার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে অাইনের বিধান এমনভাবে প্রয়োগ হবে যেন ওই অপরাধ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে।দেশে বা দেশের বাহিরে সাজার বিষয়ে সংবিধানে কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে কুয়েতে সাজা হলেও পাপুলকে সংসদ সদস্য পদ হারাতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা।
[৫] সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক অাহমেদ বলেন, দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক একই বিধান। ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের সাজা হলেই পদ বাতিল হয়ে যাবে।বারকাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, সাজা হওয়ার পর অভিযোগ বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। যদি দেখা যায় অামাদের অাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পদ থাকবে না।
[৬] এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ফৌজদারি অপরাধে যেখানেই সাজা হোক পদ থাকবেনা। কেননা সংবিধানে দেশের কোন উল্লেখ নেই। কোন এমপির সাজা হলেই স্পিকার ব্যবস্থা নিবেন। না নিলে হাইকোর্টে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
[৭] এদিকে পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এছাড়া দেশে থাকা তার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে যাচ্ছে দুদক।