ভূঁইয়া আশিক রহমান : [২] বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মে. জে. (অব.) মনিরুজ্জামান বলেন, ভারতের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত নয়। ভারত বলেছে, দুদেশের মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই, যে কারণে হাতে হাতে সংঘাতটা হয়েছে। এমনটি হতে পারে, অসম্ভব কিছু নয়।
[৩] নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে. জে. (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, পেশীশক্তির রাজনীতি করার চেষ্টা। দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার সংঘাতটা চাঙা করেছে। নিষ্ঠুরভাবে হত্যা উত্তেজনা বাড়ানোর প্রয়াস।
[৪] মে. জে. (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, কাঠ ও রডের পেরেক ঠুকে হত্যা বর্বরতার সামিল। একুশ শতকে এসেও আদিম অস্ত্র, হাতাহাতি করে নিষ্ঠুরভাবে কাউকে মেরে ফেলা জঘন্য কাজ। হত্যার ধরন দেখে বোঝা যায়, সংঘাতের পূর্ব প্রস্তুতি ছিলো। এটা অনেক বড় ঘটনা, আগামী দিনে এই অঞ্চল উতপ্ত হবে। সীমান্তে ভুল হিসাবে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে সংঘর্ষ হলেও বড় ধরনের যুদ্ধ হবে না।
[৫] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, লড়াইটা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে, কিন্তু আমরা আহত বা নিহতের হিসাব পাচ্ছি একপক্ষ থেকে। ভারত আহত-নিহত নিয়ে কথা বললেও চীন কিছু বলছে না। চীন কিছু না বললে এ বিষয়ে পরিষ্কার বলা যাবে না। লাদাখের পরিবেশটা হয়তো আদিম অস্ত্র পরিবহনযোগ্য, ব্যবহার উপযোগী। ফলে মুখোমুখি লড়াইয়ে আদিম অস্ত্র ব্যবহৃত হয়। আর যুদ্ধক্ষেত্রে অনেকসময় মানবিকতা কাজ করে না।
আপনার মতামত লিখুন :