আব্দুল্লাহ মামুন : [২] সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো আরও বলেন, করোনাকালে অনেক মানুষ আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। যাদের স্থির বেতন নেই, যেমন অনেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করেন অথবা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন, ছোট-খাটো ব্যবসা করে পরিবার চালান, কোভিডে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন। দেখা যাচ্ছে, তাদের অনেকেই অর্থকষ্টে ঢাকা ছাড়ছেন। কারণ তাদের একদিকে পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত করতে হচ্ছে, অপরদিকে বাড়িভাড়া পরিশোধে নিয়েও প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলো।
[৩] পৃথিবীর এমন অনেক দেশ আছে, যারা দেশের নাগরিকদের এই দুঃসময়ে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। নগদ টাকা প্রদানের পাশাপাশি কোনো কোনো দেশ বাড়িভাড়াও পরিশোধ করছে। আমাদের দেশেও এরকম অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত কিনা তা নিয়ে প্রশ্নও আছে মানুষের।
[৪] দুই-তিন মাস বাড়িভাড়া না নেওয়ার জন্য মালিকদের বলতে পারে সরকার, টাকাটা বাড়ির মালিক সংকট পরবর্তী সময়ে কিস্তিতে পাবেন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে।
[৫] সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করলে সংকট সমাধানের একটা পথ তৈরি হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :