রাহুল রাজ : [২] করোনায় মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে তৈরি হয়েছে তিন পক্ষ। মাঠে ফেরার পক্ষে একদল অন্য দল আরো সময় চাইছে। আর তৃতীয় পক্ষ মাঝে অবস্থান করছে। সরকার ও বিসিবির সিদ্ধান্তই তারা মাথা পেতে নেবে বলে জানিয়েছেন।
[৩] আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা সফর এখনো ঝুলে আছে। সেক্ষেত্রে মাঠে অন্তত তিন সপ্তাহের অনুশীলন দরকার। সেই হিসেবে হাতে এখনো সময় আছে। জাতীয় দলের দুই সিনিয়র তামিম ইকবার ও মমিনুল হক লঙ্কা সফরের না যাবার কথা জানিয়েছিলেন। ক্রিকেটারদের বেঁকে বসাতে শ্রীলঙ্কা সফর এখনো হা বা না তে ঝুঁলে আছে।
[৪] রোববার রাতে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সভায় জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফর, অনুশীলন শুরু, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে অপেক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি ভারত তাদের শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সফর বাতিল করেছে। আর এতেই বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর পিছিয়ে দেয়ার পক্ষে যুক্তি জোরালো হয়েছে।
[৫] এদিকে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের রুটি-রুজির উৎস প্রিমিয়ার লিগ শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেলে চরম দুর্দশায় পড়বেন অনেকেই। কোয়াবের পক্ষে ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক জানান, বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা জানি অনেক দেশে খেলা শুরু হয়েছে, তাদের বাস্তবতা আর আমাদের অবস্থা এক নয়। তাদের আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী। ঢাকার ও দেশের অনেক এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা হয়েছে। এই অবস্থায় কুরবানীর ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের খেলা শুরুর সম্ভাবনা খুব একটা দেখছি না আমি। দুই সপ্তাহ পর আবার কোয়াবের সভায় বসে ঠিক করা হবে পরবর্তী করণীয়।