ভূঁইয়া আশিক : [২] স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি আরও বলেন, বড় বড় এলাভিত্তিক লকডাউনে যেতে হবে। কখন, কোথায় হটস্পট হয়ে যাবে বলা দুরূহ।
[৩] তিনি বলেন, প্রথম থেকে টেস্টের পরিমাণ বাড়ানো গেলে করোনার প্রকৃত চিত্রটি এখন অনেক ভালো বোঝা যেতো, সেই সুযোগটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
[৪] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, আমাদের সংক্রমণ অনুধাবন ও গতিরোধের জায়গাটা সঠিকভাবে উপলব্ধি প্রয়োজন। সংক্রমণ শনাক্ত করার জন্য আমাদের বেশি বেশি টেস্ট করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী যাত্রা শুরু করেছে। এই ঊর্ধ্বমুখী যাত্রা কোথায় গিয়ে শেষ হবে, কেউ জানি না।
[৫] যে সমস্ত প্রেডিকশন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে, সেসব গাণিতিক। বৈশ্বিক চিত্রে যে গাণিতিক মডেল আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা মিলছে না। এই মুহূর্তে দেশের করোনা পরিস্থিতি কোথায গিয়ে থামবে, তা প্রেডিক্ট করা মুশকিল।
[৬] ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এতো বিস্তার লাভ করেছে, বিস্তৃতি এতো ঘটেছে যে, দেশে কখন, কোথায় হটস্পট হয়ে যাবে বলা যায় না। যেমন আমরা এখন চট্টগ্রামে হটস্পট পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। রাজশাহীতেও সংক্রমণ বাড়ছে।
[৭] প্রতিদিন টেস্টের পরিমাণ বাড়ছে। বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যাও। যদি টেস্টের পরিমাণ আরও বাড়ে, শনাক্তের সংখ্যা কি একই হারে বাড়বে? এটাও আমরা বুঝতে পারছি না।