ডেস্ক রিপোর্ট : [২] যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী সংস্কারের একটি বিল কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভের জেরে এই বিল এনেছে ডেমোক্র্যাটরা। বিলটি আইনে পরিণত হলে অসদাচরণ, গলা চেপে ধরার কারণে পুলিশ সদস্যদের বিচার করা এবং বর্ণবাদ মোকাবিলা সহজ হবে। তবে জাস্টিস ইন পুলিশিং অ্যাক্ট ২০২০ নামের এই বিলটিতে সিনেট নিয়ন্ত্রণ করা রিপাবলিকানরা সমর্থন দেবেন কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। হাঁটু গেড়ে বসে জর্জ ফ্লয়েডের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
[৩] মিনিয়াপলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। এরইমধ্যে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ বিভাগ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে সিটি কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। নিউ ইয়র্ক পুলিশের তহবিল কাটছাঁটের ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় মেয়র বিল দে ব্লাসিও।
[৪] এমন পরিস্থিতিতে সোমবার কংগ্রেসে জাস্টিস ইন পুলিশিং অ্যাক্ট ২০২০ যৌথভাবে উত্থাপন করেন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার, কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর কমলা হ্যারিস ও কোরি বুকার এবং কংগ্রেশনাল ব্ল্যাক ককাসের সদস্যরা। বিলটি উত্থাপনের সময় ন্যান্সি পেলোসি গত কয়েক বছরে পুলিশের হাতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ নারী-পুরুষের নাম পড়ে শোনান।
[৫] ওই বিলে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শরীরে এবং গাড়ির ড্যাশবোর্ডে ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক করার কথা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সন্দেহভাজনের গলা চেপে ধরা। বিলোপ করা হবে পুলিশের অঘোষিত তল্লাশি অভিযান। নাগরিক অধিকার ভঙ্গের কারণে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে দায়ী করা সহজ হবে। আর স্থানীয় যেসব পুলিশ বাহিনী একই ধরনের সংস্কার আনতে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
[৬] হাউজ স্পিকার ও শীর্ষ ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু মার্কিনিদের জাতীয় যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা দিয়েছে, আমরা পুলিশি নৃশংসতার শিকার কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনিদের কষ্ট প্রত্যক্ষ করছি। জাতীয় যন্ত্রণার এই আন্দোলন আজ জাতীয় উদ্যোগে পরিণত হয়েছে।’
[৭] প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে আগামী সপ্তাহে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। কোনও কোনও রিপাবলিকান নেতা জানিয়েছেন, তারা নিজেদের মতো করে একই ধরনের বিল উত্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই ডেমোক্র্যাটদের আনা বিলটিতে সমর্থনের ইঙ্গিত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে দলের এই অবস্থান থেকে বেরিয়ে রবিবার রিপাবলিকান সিনেটর বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে টুইট করেছেন। বাংলা ট্রিবিউন, প্রিয়ডটকম