খন্দকার মারশাস ফেসবুক থেকে : [২] আলহামদুলিল্লাহ এত দুঃখের মাঝেও একটি সুখবর না দিয়ে পারছিনা। ঢাকাতে এখন অনেক এলাকায় হাজার হাজার লোক মাইল্ড করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় ৬ ধরনের করোনার মধ্যে মাইল্ড করোনা হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল করোনা। এটা খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক জ্বর মাত্র। মনে হবে সিজেনাল জ্বর। হঠাৎ করে জ্বর শুরু হয় দুই থেকে তিন দিন থাকে এবং সাধারণ নাপাতেই জ্বর চলে যায়। কোন এন্টিবায়োটিকও খাওয়া লাগেনা। এক পরিবারে একজনের জ্বর হলে একসাথে ওই পরিবারের আরো ৪-৫ জনের জ্বর হচ্ছে। টেস্ট করলে পজেটিভ আসে।
[৩] তবে এটি সুখবর কেন?
[৪] কারণ এই সামান্য জ্বরে তার ভিতর এন্টিবডি তৈরি হয় এবং এটি তার পরবর্তী সেফটির জন্য একটা কারন হবে। ৩৩৩ কল সেন্টারে আমরা যুক্ত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি কল রিসিভ করছেন এরকম কয়েকজন ডাক্তারের সাথে গতকাল আলাপ হয়। যার মধ্যে একজন প্রায় চার হাজার কল রিসিভ করেছেন। ৩৩৩ কল রিসিভ রেংকিং এ তার অবস্থান দ্বিতীয়। সবার ভাষ্যমতে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় এরকম হাজার হাজার লোকের মাইল্ড করোনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে স্বাভাবিক ফ্লুর মত ।
[৫] এই জ্বরে কারো কারো হালকা গলা ব্যথা হয়, কেউ কেউ ঘ্রাণ পায় না, কারও কারও শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হয়। এছাড়া কোন শ্বাসকষ্ট হয় না। কিংবা কোন বড় কষ্ট হয় না কিন্তু টেস্ট করলে করোনা পজিটিভ আসছে। আমাদের এলাকাতে আমাদের বিল্ডিং সহ আশেপাশে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ পরিবারে এরকম হয়েছে। কেউ টেরই পায় নাই যে এটা করোনা। এত স্বাভাবিক জ্বর, মাত্র দুই দিনেই জ্বর শেষ। আইসিউ পর্যায় শুধু তারাই যাচ্ছে যাদের আগের থেকেই মাল্টি অর্গান ফেইলর ছিল। যারা জীবনের অধিকাংশ সময় এসিতে কাটিয়েছেন। ইমিউনিটি একেবারেই কম। অন্যদিকে হায়াতও শেষ। এইজন্য দেখবেন সমাজের উচ্চ পর্যায়ের লোকের সমস্যা বেশি। আর রিকশাওয়ালা, সেতো নিজেই করোনা ।
[৬] যাই হোক, এভাবে খুব স্বাভাবিক জ্বরের মাধ্যমে যদি অধিকাংশ লোকের করোনা হয়ে যায় আলটিমেটলি অটোমেটিক অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ হয়ে যাচ্ছে এবং যার ফলে আল্লাহ প্রদত্ত ভ্যাকসিনেশন চলছে। এইজন্য এরকম জ্বর হলে ভয়ের কোন কারন নাই। স্বাভাবিক চিকিৎসায় ২-৩ দিনে ভালো হয়ে যাবেন। আর অন্যদিকে মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারেন এ যাত্রায় আল্লাহ চাহে তো আপনি বেঁচে গেলেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :