মুসা আহমেদ: [২] তেল উৎপাদন কমানোর নীতি আশা জাগিয়েছে তেল কোম্পানিগুলোর। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তেলের দরে চরম ধস নামে। বিশ্বব্যাপী লকডাউন শিথিল হওয়ায় তেলের চাহিদা বাড়ায় মার্চের পর বুধবার তেলের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে দাঁড়ায়। রয়টার্স
[৩] মার্কিন অপিরোধিত তেল কোম্পানি ব্রেন্টের তেলের দর দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৪০.৫৩ ডলারে। আগস্টে ৭৮ শতাংশ বিক্রির সম্ভাবনা দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিক্রি হতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৪০.৩৫ ডলারে।
[৪] এদিকে মার্কিন কোম্পানি টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট আয় করেছে ব্যারেলপ্রতি আয় করেছে ১.০৬ ডলার। ব্যারেলপ্রতি গড় বিক্রি দাঁড়ায় ৩৭.৮৭ ডলারে। তবে সর্বোচ্চ দর ওঠে ৩৮.১৮ ডলার। ৬ মার্চ থেকে এটাই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটিতে।
[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্র রয়টার্সকে জানায়, তেলের দর ধসে যাওয়ায় তেলের উৎপাদন হৃাস করার সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়াসহ তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা অপেক প্লাস। উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত আরো বাড়ানো হতে পারে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। ফলে জুলাই-আগস্টে প্রতিদিন উৎপাদন কমে যাবে ৯.৭ মিলিয়ন ব্যারেল।
[৬] অপরিশোধিত তেল কোম্পানি ফিলিপ ফিউচারের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক আভতার সান্দু বলেন, তেল ব্যবসায়ীরা আশা করছে, তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তেলের দাম বাড়াতে বিশাল পরিমাণ উৎপাদন কমিয়ে দেবে।
[৭] বুধবার চীনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল ব্যবহারকারীর দেশ চীন করোনা মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে। ফলে চীনসহ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে তেলের চাহিদা। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রথমবারের মত লাভের মুখ দেখছে দেশটির তেল ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো।
[৮] এ বিষয়ে অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্স জানায়, বিশ্বজুড়ে পর্যায়ক্রমে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। ফলে তেলের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। ঘুরে দাঁড়াবে তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তবুও গেলো বছরের তুলনায় এ বছর গড়ে তেল বিক্রি কমে যাবে ৯২ মিলিয়ন বিপিডি।