ইমরুল শাহেদ : [২] ১ জুন সোমবার এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত লকডাউন শিথিল হতে দেখা গেল। একজন কৃঞ্চাঙ্গের হত্যাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ব্যাপক আন্দোলন, সেখান থেকে নতুনভাবে করোনা ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রোমের প্রাচীন কলসিয়াম গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। গ্রীসের লোকেরা গলফ খেলায় ফিরে এসেছে। ব্রিটেনে শিক্ষার্থীরা ফিরে এসেছে এবং ডাচে বার ও রেস্তোঁরা খুলে দেওয়া হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] সারাবিশ্বে যখনও খুব সতর্কভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লোকজনের চলাফেরার নিয়ম পালন করা হচ্ছে, তখন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর লোকজন যথারীতি তাদের চিরচেনা রৌদ্রউজ্জ্বল সমুদ্র সৈকতে জড়ো হচ্ছেন।
[৪] কলসিয়াম প্রত্নতাত্ত্বিক পার্কের পরিচালক আলফোনসিনা রুশো বলেছেন, ‘আমাদের এই খুলে দেওয়াটা হলো প্রতীকি। এটা হলো রোম তথা ইতালির প্রতীক। আমরা একটু ভিন্নভাবে ইতিবাচক পথেই শুরু করেছি। সীমিত সংখ্যক পর্যটক থাকবে এবং সেটা আমাদের শহরের জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই।’
[৫] এদিকে এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত নাগরিকদের সতর্ক থাকার কথা বলেছে সোমবার। তারা বলছেন, ভাইরাসটিকে থামিয়ে দেওয়াটা কতটা কঠিন।
[৬] দক্ষিণ কোরিয়া ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে বলে বিশ্বের কাছ থেকে যখন প্রশংসিত হচ্ছিল, তখনই রাজধানী সিউলের আশপাশের এলাকা থেকে নতুন সংক্রমিত হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। নাইটক্লাব, রেস্তোঁরা এবং ই-কমার্স ওয়ারহাউজ থেকে শত শত সংক্রমিত লোক নথিভুক্ত হতে শুরু করে। সোমবারই সংক্রমণের ৩৫টি ঘটনা পাওয়া যায়।
[৭] ভারত সোমবার লকডাউন আরো শিথিল করলেও সংক্রমণ অব্যাহত আছে। বেশির ভাগ রাজ্যেই দোকান ও গণপরিবহন থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সাবওয়ে এবং স্কুল এখনো বন্ধ আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস এখনও ভারতে শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেনি।