ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব
রাহুল রাজ : [২] বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে প্রথম হ্যাটট্রিক আসে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে। অলক কাপালির লেগস্পিনে পাল্টে গিয়েছিল ম্যাচের চেহারা। একজন লেগস্পিনার যেকোন পরিস্থিতিতে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে সেটা বহুবার প্রমাণিত হয়েছে।
[৩] ক্রিকেট একাদশের একটি বিশেষ স্থান আছে লেগস্পিনারের। ভারতে যুজবেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, আফগানিস্তানের রশিদ, জহির খানের লেগ স্পিনের বাঁকে নির্বাক হয় ব্যাটসম্যান। কাপালি বা আশরাফুলের পর আর কোন রিস্ট স্পিনারকে বাংলাদেশ দলের সাথে বেশিদিন দেখা যায়নি।
[৪] সাব্বির হাত ঘুরালেও তা খুব বেশি কার্যকর হয়নি। এই শূণ্যতা পূরণে বিসিবির বেশি পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। গত বিপিএলে প্রতিদলে একজন লেগস্পিনার খেলানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও মাঠে কোন প্রভাব পড়েনি।
[৫] মাঝে জুবায়ের লিখন এবং তানভির হায়দার কিছুটা ঝলক দেখালেও আলো হয়ে বেশিদিন জ্বলে ওঠার সময় পাননি। গত বিপিএলে মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি নামের কিশোর লেগস্পিনার বেশ আলোচনা ছড়ালেও স্পট লাইটে আসতে পারেনি।
[৬] লিখনের ঝুলিতে একজন লেগস্পিনারের যতরকম অস্ত্র থাকার কথা, তার প্রায় সব অস্ত্রই ছিল। লেগস্পিন, গুগলি, ফ্লিপারে লিখন ছিলেন কার্যকরি। চার বছর আগে ফতুল্লায় লিখনের গুগলিতে কোহলির বোল্ড হওয়ার দৃশ্যটি এখনো অনেকের স্মৃতিতে ভাস্বর। ঐ একটি আউটের দৃশ্য লিখনের বোলিং সামর্থ্যের বড় প্রামাণ্য দলিল, বড় বিজ্ঞাপন।
[৭] ৬ টেস্টে ১৬টি আর ৪ ওয়ানডেতে লিখন শিকার করেছে ৬টি উইকেট। একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলে পেয়েছিলেন ১টি উইকেট। এ যেন হঠাৎ এসে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া। লেগস্পিনারের শূণ্যস্থান পূরণে কোনভাবেই লিখনের নাম আসছে না।
[৮] নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানান, লিখনের অভিষেকটা খুব দ্রুতই হয়েছিল। এই জন্যই সে ছিটকে গিয়েছে। যেহেতু ওর বয়স অল্প, সামনে সুযোগ আছে।
আপনার মতামত লিখুন :