মাদারীপুর প্রতিনিধি : [২] মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে চকলেট খাওয়ানো কথা বলে শিশু শ্রেণিতে পড়–য়া সাত বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচাতো চাচা ইউনুস ফকির (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধর্ষক ইউনুস ফকির কে আটক করেছে রাজৈর থানা পুলিশ। বিকেলে ধর্ষককে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুটিকে সোমবার সন্ধায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মেডিকেল চেকআপ করা হবে।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের ইউনুস ফকির ঘর ফাঁকা থাকায় তার চাচাতো ভায়ের শিশু মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার দুপুরে তার ঘরে ডেকে নেয়। ওই শিশুকে অনেক সময় ধরে তার মা খুঁজে না পেয়ে ইউনুসের ঘরের সামনে গেলে দেখে দরজার সামনে স্যান্ডেল রাখা। এ সময় শিশুর মা ঘরে গেলে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় শিশুর মা চিৎকার চেঁচামেচি করলে তাকে হুমকি-ধামকি দেয় ইউনুস। এঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লাগে। অনেক কৌশলেই সোমবার দুপুরে ওই শিশুর মা তার বাবার বাড়ি (শিশুর নানা বাড়ি) যাওয়ার কথা বলে রাজৈর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে রাজৈর থানা পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইউনুস ফকিরকে আটক করে। এ ব্যাপারে রাজৈর থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।
[৫] নির্যাতিতার মা জানান, আমার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে ওই ঘরে সামনে গেলে দেখি ঘরের সামনে আমার মেয়ের স্যান্ডেল রাখা পরে আমি ঘরে ঢুকে দেখি এই অবস্থা। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে আমি কৌশলে সোমবার আমার বাবার বাড়ি যাবো বলে বাড়ি থেকে থানায় আসি। আমি এর বিচার চাই। সোমবার সন্ধায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
[৬] রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শওকত জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার সাথে সাথে অভিযুক্ত ইউনুস কে আটক করি। এব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষককে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করেছি। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মেডিকেল চেকআপ করা হবে।