লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ রোগের এখনো নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বের করতে পারেনি বিশ্ব। চেষ্টা চলছে রোগের নিরাময়ের জন্য ওষুধ বা ভ্যাক্সিন আবিস্কারের। তবে এখনো ব্যার্থ বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। তারপরও করোনা রোগিদের চিকিৎসা থেমে নেই। পুরোনো ওষুধ দিয়ে চলছে চিকিৎসা।
[৩] বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, ডক্সিসাইক্লিন, রেমডেসিভির, আইভারমেকটিনসহ বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার করছে। তবে অনেক ওষুধ এখনো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা দেয়নি। বাংলাদেশ সরকারও এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি। প্লাজমা থেরাপিও চলছে দেশে।
[৪] সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক উত্তম বড়ুয়া বলেন, সবারই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে গবেষণার জন্য অন্য ওষুধও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া উচিত।
[৫] ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন ওষুধের গবেষনার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু কোভিডের ক্ষেত্রে ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। অথচ অনুমতি নিচ্ছে না কেউ। গবেষনার জন্য অবশ্যই নিয়ম মানা উচিত।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসির পরিচালক শাহনীলা ফেরদৌসি বলেন, জাতীয় টেকনিকেল উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু ওষুধ চলছে। এগুলোর কোনো গবেষনার ভিত্তি নেই। তবে গবেষনা করা যেতে পারে যদি সুফল পাওয়া যায়।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের সহযোগি পরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, একটি নির্দেশনা আছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও কিছু ওষুধ গাইডলাইনের বাইরের ব্যবহার করা হচ্ছে।
[৮] রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিউিটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলোমগীর বলেন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের গাইড লাইনের বাইরের কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এগুলোতে বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। খুব শিগগিরি গাইড লাইনে এগুলো অন্তর্ভূক্ত করা হবে।