মুসা আহমেদ: [২] করোনা মহামারীর প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত জাপান। গেলো বছরের তুলনায় এবার এপ্রিলে রাজস্ব আয় কমেছে ২৯.৪ শতাংশ, যা এক দশকেও দেখেনি অর্থনীতিতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এ দেশটি। রয়টার্সে
[৩] সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়। বলা হয়, করোনা মহামারীর প্রভাবে সামনের দিনগুলোতে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ। এ বছর এপ্রিলে যে ধস হয়েছে, তা ২০০৯ সালের আগস্টের পর দেখেনি জাপান।
[৪] দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গেলো বছরের তুলনায় এবার এপ্রিলে আয়কর কমেছে ৮৮.৫ শতাংশ। অন্যদিকে, কর্পোরেট কর কমেছে ৫ শতাংশ। ফলে এপ্রিল পর্যন্ত এ বছরে আয় হয়েছে ৫২.৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন।
[৫] দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, করোনায় আর্থিক ধস কাটিয়ে উঠতে এরইমধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা করেছে সরকার। প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের সামঞ্জস্য মিটাতে আরো ঋণপ্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নেয়ার সম্ভাবনা দেখছে সরকার। অর্থনীতির বড় একটি অংশ এবার সরকারি ঋণের জালে আবদ্ধ। দেশটির মোট অর্থনীতি ৫ ট্রিলিয়নের দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণ ঋণে জর্জরিত জাপান।
[৬] সোমবার দেশটির প্রধানমন্তী শিনজো অ্যাবে বলেন, করোনায় অর্থনৈতিক ধস ঠেকাতে দ্বিতীয়বারের মত অতিরিক্ত বাজেট হিসেবে ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে নেয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এ প্রণোদনার বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে।
[৭] বিষয়টি নিয়ে দেশটির অর্থনৈতিক বাজার বিশ্লেষক আয়াকো সিরা বলেন, অর্থনীতিতে আাগামী দিনগুলোর বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ফলে আগামী অর্থবছরের ঘাটতি বাজটের বিষয়টি গভীর দৃষ্টি হতে হবে সরকারকে।
[৮] তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত সরকারি ঋণের প্রভাব বহুদিন বয়ে বেড়াতে হবে সরকারকে। ঋণেরবোঝার কারণে অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নে দিনে দিনে শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।