মুসা আহমেদ: [২] করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ডাকা লকডাউনে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে চিলি। বৈশ্বিক এ মহামারীর প্রভাবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হু হু করে যায় বেড়ে যায় বেকারত্ব। এ তিন মাসে বেকারত্ব বেড়েছে ৯ শতাংশ, যা এক দশকে সর্বোচ্চ। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা আইএনই। রয়টার্স
[৩] সংস্থাটি জানায়, করোনায় দেশটির বাণিজ্য বিশেষ করে মৎস্য চাষ ও নির্মাণশিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ধস হয়েছে। ফলে বেকারত্ব বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এছাড়া আত্মকর্মসংস্থান খাতেও বড় বিপর্যয় ঘটেছে। করোনায় মে মাসে রাজধানী স্যান্টিয়াগোসহ পুরো দেশে লকডাউন থাকায় চাকরি হারায় অনেক কর্মী। এতে দেশটির অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে পড়ে। তবে সরকারি এ প্রতিবেদনে করোনার সঠিক প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে জানায় সংস্থাটি।
[৪] এ বিষয়ে দেশটির অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্রেডিকর্প ক্যাপিটাল জানায়, কর্মহীনদের ভাগ্য পরিস্থিতি কেমন হবে নির্ভর করছে করোনা দেশটির শ্রমবাজারে কতটা তাণ্ডব চালাবে সেটার ওপর। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীদের বিনাবেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে আবার প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কেউ কেউ স্বেচ্ছাশ্রমও দিচ্ছে। তবে মূল প্রশ্ন হচ্ছে করোনার কারণে কতজন কর্মীর স্থায়ীভাবে চাকরি হারাবে।
[৫] এর আগে করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ঐতিহাসিক ১৭ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে চিলি। যা মোট জিডিপির ৫ শতাংশ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।