রায়হান রাজীব: [২] এ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, মানুষকে তিন বেলা খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের মানুষদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। তারা যদি জীবন বাঁচাতে পারে তাহলে জীবিকার সন্ধানে বাইরে বের হবেন না। সরকার এটা যদি নিশ্চিত করতে পারত তাহলে লকডাউন আরো কার্যকরী হতো। ডেইলি স্টার।
[৩] তিনি বলেন, জনগণের জন্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন হলো: ঘরে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, দূরত্ব বজায় রাখা, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া। বাইরে গেলে হাত ধুয়ে ঘরে ঢুকতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। জনগণকে এগুলো মানতেই হবে।
[৪] অনেক দেশে জেল-জরিমানা, শাস্তির ব্যবস্থা আছে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে তা হয় নাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেরে উঠছে না। দেশে মানুষ বেশি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। হয়তো বাস্তবতার কারণেই এসব মেনে চলা যাচ্ছে না।
[৫] বাঁচতে হলে আমাকেই সচেতন হতে হবে। জনগণকে নিজের স্বার্থে, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী সর্বপরি দেশকে বাঁচানোর জন্যে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এটা তো তাকে বুঝতে হবে।
[৬] প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরো বলেন, আগামী পাঁচ-সাতদিন পর্যবেক্ষণ করে কড়াকড়িভাবে লকডাউন দিতে হবে। জোর করে হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে হবে। এরপরও মানুষ যদি না মানেন তাহলে প্রয়োজনে সরকারকে কার্ফু দিতে হবে। কিন্তু, এ সবকিছুর আগে সরকারকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে যা যা দরকার তা তা নিশ্চিত করতে হবে।