রাশিদ রিয়াজ : [২] সামাজিক, শারীরিক দূরত্ব ও ফেসমাস্ক এবার ঈদকে বিশ্বব্যাপী এক ভিন্ন আমেজ এনে দিয়েছে। লকডাউনে থেকেও বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ তবুও ভিন্নভাবে ঈদের জামাতে অংশ নেন, ধর্মীয় এ উৎসব পালন করেন। দি সান
[৩] বিশ্বের ১.৮ বিলিয়ন মুসলিম এক মাস রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। পুরো রমজান মাসে তারা সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখেন, কোনো খাদ্য গ্রহণ করেন না। বাজে কথা বলেন না। যৌনতা থেকে বিরত থাকেন। এবং মানুষের প্রতি পারস্পরিক মঙ্গলকামনা এবাদত বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করেন।
[৪] ঈদের জামাতে মুসলমানদের বাধ ভাঙ্গ জোয়ারের মত উপচে পড়া মানুষের ঢল যেভাবে নামে এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি। কসোভার প্রিস্টিনার গ্রান্ড মসজিদে বিশ্বের অন্যান্য মসজিদের মত এভাবেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ পড়েন। অনেকে ঘরেই নামাজ পড়েছেন।
[৫] ঈদের জামাতে এক মুসলিম নারী এলে ইরানে ঈদগাহে প্রবেশের আগে তার শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়।
[৬] ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টারের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম হামজাহ হাসান ঈদের জামাতে খুৎবা রাখছেন। ফেসবুকে তার এ খুৎবার বাণী প্রচার করা হয়।
[৭] সৌদি আরবের মক্কায় কাবা শরীফে এবার লকডাউনের কারণে একেবারে ফাঁকা ছিল।
[৮] ঈদে মুসলমানরা প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করেন। একসাথে উৎসবের খাবার খান। সামাজিক মেলবন্ধনের মধ্যে উপহার আদান প্রদান করেন। ইসলামি ক্যালেন্ডারে এই ঈদ খুবই উল্লেখযোগ্য এক দিবস।
[৯] কিন্তু এবার করোনাভাইরাস যাতে আরো ছড়িয়ে না পড়ে তাই মুসলমানরা সারাবিশ্বে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব পালনে কঠোরতা অবলম্বন করছেন। তুরস্ক, ইরাক, জর্ডানের মত কিছু দেশে কঠিনভাবে লকডাউন পালন করা হচ্ছে।
[১০] কোনো মুসলিম দেশে বিশাল ঈদের জামাত আগেভাগেই বাতিল করা হয়। অনেক মসজিদ বন্ধ ছিল। বড় ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
[১১] মালয়েশিয়ায় কিছু মসজিদখুলে দেয়া হয় এবং পারিবারিকভাবে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়। তবে তা ৩০ জনের মধ্যে এবং সামাজিক মেলা মেশা ২০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
[১২] উত্তর মেসিডোনিয়ায় একটি মসজিদে এভাবে মুসলিমরা ঈদের নামাজে অংশ নেন।
[১৩] ইসরায়েলের জাফনায় একটি ময়দানে ঈদের জামাতে অংশ নেন মুসলিমরা।
[১৪] তুরস্কে লকডাউন থাকলেও মসজিদে অনেকে এভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ব্রিটেনে ৩৪ লাখ মুসলিম ঈদের উৎসব পালন করছে লকডাউনে থেকেই। মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন থেকে আগেই অনুরোধ জানানো হয় ঘরে থেকে ঈদ এবার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি উদযাপন করতে। কাউন্সিলের সেক্রেটারি হারুন খান বলেন এবার আমরা পবিত্র ঈদের দিনটিকে নিরাপদের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করছি যাতে কেউ করোনায় আক্রান্ত হন।
[১৫] ভারতের নতুন দিল্লিতে ২০১৯ সালের জুনে ঈদের জামাতের ছবি এটি।
[১৬] আর এটি হচ্ছে গাজায় ২০১৯ সালের ঈদুল আযহায় মসজিদুল আল-আকসায় মুসলমানদের ঈদের নামাজ শেষে আনন্দ উচ্ছাসের ছবি।