ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের নির্দেশনায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় জাতীয় যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনীর ১১৯ জন সদস্য আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন।
[৩] তারা শনিবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত সাতক্ষীরার আলিপুর, দক্ষিণ আলিপুর ও আলিপুর হাটখোলা এলাকার মানুষের জন্য বিভিন্ন জনহিতকর কাজে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সাইক্লোন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির উপর উপড়ে পড়া গাছপালা সরিয়ে ঘরবাড়ি বাসযোগ্য করতে এবং রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছের গুড়ি সরিয়ে রাস্তাঘাট চলাচল উপযোগী করতে সহায়তা প্রদান করেন।
[৪] এছাড়াও, তারা রাস্তায় ট্রাফিক দিয়ে জনসাধারনের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করেন। উপরোক্ত সেবার পাশাপাশি বিমান বাহিনীর টিমটি সাইক্লোন কবলিত মানুষের নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে সেখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, জেনারেটর, ইলেকট্রিক ওয়াটার পিউরিফায়ার, ওয়াটার কন্টেনার, ইলেকট্রিক মোটর পাম্প সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যায় এবং নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন।
[৫] বিমান বাহিনীর মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সহায়তা প্রদানের ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত সাতক্ষীরার মানুষদের জন্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্রগ্রাম এবং বিমান বাহিনী ইউনিট, লালমনিরহাট এলাকার এতিম শিশুদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
[৬] ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিমান বাহিনী ৬টি পরিবহন বিমান এবং ২৯টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠনসহ সকল ঘাঁটিতে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের জন্য অপস্ রুম খোলা আছে। বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।