রাশিদ রিয়াজ : [২] পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি উড়োজাহাজ করাচির আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা নিশ্চিত জানা জায়নি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি শিশুকে কোলে করে বেরিয়ে আসছে এক উদ্ধারকর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারা আরো কয়েকজনকে বিমানটির ধ্বংশবাশেষ থেকে বের হয়ে আসতে দেখেছেন। মিরর’এর প্রতিবেদনে অন্তত দুজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। দি সানের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে জনা চল্লিশেক মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে তারা আশেপাশের ভবনের বাসিন্দা হয়ে থাকতে পারেন। বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে কোনো জীবিত যাত্রীকে উদ্ধার করা আদৌ সম্ভব হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি উদ্ধারকর্মী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানের একাধিক মিডিয়া বিমানটি থেকে জীবিত উদ্ধারের কথা বললেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
ইদি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩৫টি লাশ উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় আরো ১৫/২০জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় যাদের বাড়ি ঘরের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়ার পর চারপাশে আগুর ধরে যায়। অন্তত ৫টি বাড়ি জুড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিমানটি করাচির উদ্দেশে লাহোর থেকে ১০৭ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। বিমানটি প্রথমে একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং এরপর বিধ্বস্ত হয়। এর আগে করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করার ঠিক এক মিনিট আগে বিমানটির বৈমানিক কন্ট্রোলটাওয়ারকে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানিয়ে ‘মে ডে’ ঘোষণা করেন। এরপরই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৈমানিক বিমানটির দুটি ইঞ্জিনই বিকলের কথা জানাতে পেরেছিলেন।
পিআইএ’র মুখপাত্র আবদুল সাত্তারের বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, লাহোর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট এ-৩২০ করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার কয়েক মিনিট আগে কাছের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ফ্লাইটে ৯৯ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :