আনিস তপন : [২] বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের স্বাক্ষর করা এই চিঠি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠালেও শুক্রবার তা প্রকাশ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
[৩] চিঠিতে সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরীভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
[৪] এতে আরো বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলে ‘আম্ফান’-এর প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ তৈরি করা হয়েছে।
[৫] তাছাড়া, করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তদুপরি ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব গোটা জাতির উপর পড়বে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৬] উল্লেখ্য, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ হতে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩০৫কোটি ৫০লক্ষ টাকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১ কোটি ০৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।