সাইদুল ইসলাম, লন্ডন থেকে : [২] নিয়মিত রোজা রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার পর থেকে প্রতিদিন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথাও বলছেন তিনি। বিএনপির কেন্ত্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম মঙ্গলবার সকালে ফোনে আমাদের সময় ডটকমকে আরো বলেন, তারেক রহমান নিয়মিত বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন। অসুস্থতা নিয়েও যে তিনি রোজা রাখছেন এটা একেবারে উনাদের পারিবারিক সূত্র থেকে জেনেছি। তারেক রহমানের স্ত্রী ডাঃ জোবাইদা রহমান বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে লন্ডনের চিকিৎসকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে পরামর্শ নিচ্ছেন। এম এ সালাম আরো বলেন,স্বাভাবিকভাবেই কারাগার থেকে বেরুবার পর কিছুটা স্বস্তিতে আছেন বেগম জিয়া। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় নি। পারিবারিকভাবে বেগম জিয়ার সাথে তারেক রহমানের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে।
[৩] খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবার আগেই তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের করোনা পরিস্থিতিতে ত্রান কাজে নিয়োজিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
[৪] যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ফোনে আমাদের সময় ডটকমকে জানান, তারেক রহমানের নির্দেশে যুক্তরাজ্য বিএনপির সবকটি ইউনিট ব্রিটেনের ৮০ টি হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স ও ষ্টাফদের জন্য খাবার পৌছে দিঁচ্ছে। ৩০ তারিখের পরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ উদ্যোগ চলমান থাকবে।
[৫] একটি সূত্র জানায়, লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শাশুড়িকে দেখতে যাবার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায় আছেন। বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেই তিনি বেগম জিয়াকে দেখতে দেশে ফিরবেন।
[৬] বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, তিনশ আসনে গত নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন তাদের ত্রান নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে মাঠে থাকতে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা আসন ওয়ারী কি কাজ করছেন সেটা পর্যবেক্ষনের জন্য দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে বিএনপি আলাদা টীম করে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু, অনেক আসনে গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন, কার্যক্রমও নেই এমন অভিযোগ নেতাকর্মীদের।
[৭] বিএনপির কেন্ত্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ দুঃসময়ে কারা মানুষের পাশে আছেন আর কারা নিক্রিয় সেটা তারেক রহমান জানেন। দলের নির্দেশনা থাকার পরও যারা এই দুর্দিনে যেসকল আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা নিক্রিয় থাকবেন,তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
[৮] যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্টাতা আহবায়ক এম এ কাদির সরকারী দলের অনেক নেতাদের মতো অনেকে ত্রান বিতরনের নামে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে ক্রেডিট নিচ্ছেন। দশ জনকে ত্রান দিয়ে ছবি তুলে ও ভিডিও করে হাইকমান্ডে নেতার হোয়াটসআপে পাঠাচ্ছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এই ধরনের ভুইফোঁড়দের ব্যাপারে দলীয়ভাবে সতর্ক থাকা উচিত।