ডেস্ক রিপোর্ট : করোনায় লকডাউনে সবাই ঘরে বন্দি। রোজার দিনে তারাবির নামাজের পর রাতে একটু হলেও খেলাপ্রেমীদের স্বস্তির পরশ দিচ্ছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভ। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে তামিমের ফেসবুক লাইভ চলছে। আড্ডায় আছেন জাতীয় দলের তিন সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আকরাম খান আর খালেদ মাসুদ পাইলট।
পরপর তিনদিন তিনজন আন্তর্জাতিক সুপারস্টার আসলেন জুনিয়র খানের ফেসবুক লাইভে। প্রথমে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। এরপর দুই ভারতীয় রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির সাথে প্রাণবন্ত আড্ডা হলো তামিমের।
ক্রিকেট ভক্ত ও সমর্থকের বাইরে লাখো দর্শক তা উপভোগ করেছেন। ক্রিকেটারে-ক্রিকেটারে কথা-বার্তা, খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটীয় কথা-বার্তাই হয়েছে বেশি। মাঠের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। প্রোটিয়া ফ্যাফ ডু প্লেসিস আর ভারতীয় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অনেক না বলা কথাও গল্পচ্ছলে বেরিয়ে এসেছে সেই আড্ডায়।
বলার অপেক্ষা রাখে না তারও আগে দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ তারকারাও তামিমের ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়েছেন।
তাদের সাথে থাকবেন একজন বিশেষ অতিথি; বিশ্ব ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম।
কাল সোমবার বিরাট কোহলি বেশি সময় দিতে পারবেন না, তা শো শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তামিম। আর আজ যে দেশীয় ক্রিকেটের তিন বড় তারার সাথে পাকিস্তান তথা বিশ্ব ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের সাথে আড্ডাটা একটু বেশি সময় ধরে চলবে, সেটা কাল রাতে শো’ শেষ করেই জানিয়ে দিয়েছেন তামিম। তার মানে ধরেই নেয়া যায়, এক ঘণ্টা অন্তত চলবে আজকের লাইভ।
আগের তিন ভিনদেশির সবার কথা-বার্তাই দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন। আজ ওয়াসিম আকরামের সাথে তামিমের ফেসবুক লাইভ দেখতে তাই উন্মুখ দর্শকরা।
বাংলাদেশে বহুবার এসেছেন ওয়াসিম আকরাম। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে সেই ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপ খেলতে প্রথম এই দেশে আসা। তারও আগে, আশির দশকের মাঝামাঝি ইমরান খানের নেতৃত্বে ওমর কোরেশি একাদশের হয়েও এসেছেন ওয়াসিম আকরাম। এরপরও বিভিন্ন সময় ধারাভাষ্য দিতেও এসেছেন। আকরাম-নান্নু আর পাইলটের সাথেও খেলেছেন। তামিমের সাথে না খেললেও তামিমের ম্যাচের টিভি ধারাভাষ্য দিয়েছেন প্রচুর।
এদিকে আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এ ফেসবুক লাইভে তামিমের তিন স্বদেশি অতিথির সবাই প্রায় তার চাচা স্থানীয়। বলার অপেক্ষা রাখে না আকরাম খান তার আপন চাচা। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও একই শহর চট্টগ্রামেরই ক্রিকেটার। আকরামের সাথে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামের পক্ষে এবং জাতীয় দলে একসাথে খেলেছেন। সেই সূত্র ধরেই চাচার মত সম্বোধন করেন, ‘নান্নু চাচ্চু’।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল, সেই ম্যাচে জাতীয় দলের সবুজ লাল জার্সি গায়ে ছিলেন নান্নু, আকরাম খান আর পাইলট- তিনজনিই। এখন তাদের সাথে তামিমের সঞ্চালনে ওই বিশ্বকাপে পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের আড্ডাটা কেমন জমজমজাট হয় সেটাই দেখার।
আপনার মতামত লিখুন :