প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] সরকার জীবন ও জীবিকা মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখিয়ে ধীরে ধীরে সব কিছু খুলে দিয়ে দেশের মানুষদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের মনে রাথতে হবে, ঝীবনের তাগিদেই জীবিকা। জীবিকার জন্য জীবন নয় বলে চ্যানেল আইয়ের এক অনুষ্ঠানে জানান গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক।
[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে, এই মহামারী এড়াতে সামাজিক দূরত্ব মানার ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তবু সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে পোশাক কারখানা এবং আগামী ১০ মে থেকে সব শপিংমল, দোকান-পাট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মানুষদের ঘর থেকে বের করছে।
[৪] বৈশ্বিক মহামারীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ যেমন মানছে না। তারা হার্ড ইমিউনিটির দিতে যাচ্ছে, অর্থ্যাৎ বেশি সংখ্যক লোক মারা যেতে যেতে এক সময় মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। তারা মেহনতি মানুষদের নিয়ে এই খেলায় মেতেছে।
[৫] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে মাসে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠতে পারে। এ রকম গবেষণা প্রতিবেদন থাকার পরও গত এমন সিদ্ধান্ত তাদের উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে তুলে।
[৬] এমনিতেই রোজগারহীন মানুষ খাদ্যাভাবে ঘরে থাকতে চাইছে না, সে সময়ে সরকারের এমন অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত গোটা জাতির জন্য চরম দুর্ভোগ বয়ে আনবে।
[৭] এছাড়া মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে কাজের চূড়ান্ত সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বহীনতা থাকায় ইতোমধ্যে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সূত্র : চ্যানেল আই