সুশীল প্রসাদ : [২] সম্ভাব্য এপরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। এ লক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় করোনার পাশাপাশি সম্ভাব্য পাহাড় ধস মোকাবেলায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
[৩] জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনিক, সামরিক, বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
[৫] জেলা প্রশাসক বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছি। এর সর্বশেষ ৬৪ জেলার মধ্যে একমাত্র রাঙ্গামাটি করোনা সংক্রমণ থেকে বাকি ছিল। কিন্তু অবশেষে বাকি এ জেলাটিও করোনা থাবা থেকে রক্ষা পেল না।
[৬] বুধবার পাওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শহরের ৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই সংক্রমণে যুক্ত হল রাঙ্গামাটি। তবু আমরা ভালো থাকতে চাই। সুখবর হল এই- যে চার জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, তারা সবাই সুস্থ আছে। আবার তাদের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে যারা ছিলেন, রয়েছেন তাদের শরীর থেকেও নমুনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তী ফলাফল নেগেটিভ আসবে।
[৭] সভায় জেলা প্রশাসক জানান, যে চার জনকে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাড়িঘরসহ ওইসব এলাকা লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। আক্রান্তরা যেহেতু সবাই সুস্থ আছে, তাই তাদেরকে আপাতত নিজ নিজ ঘরে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
[৮] সভায় করোনার পাশাপাশি পাহাড় ধসের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সর্বাত্মক পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শহরের ৩১ এলাকা চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। এসব এলাকায় পূর্ব সতর্কতা অবলম্বনে বার্তা পৌঁছানো হবে। এ ছাড়া উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও লোকবল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ সর্বাত্মক চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান সড়কসহ জেলার সবকটি রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজ করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) বলা হয়েছে। এ ছাড়া জনসচেতনতা সৃষ্টিতে শহরে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
[৯] সভায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরসহ জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের দুর্যোগে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিসাধিত হয়েছে ব্যাপক । পূর্ব সতর্কতার কারণে পরবর্তীতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমে গেছে- যদিও ২০১৮ সালের জুনে ফের ১১ জন এবং ২০১৯ সালের জুনে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এসব ঝুঁকি এড়াতে সামনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ