লাইজুল ইসলাম : [২] করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে গেলো সপ্তাহ খানেক ধরে। প্রতিদিন ৬-৭’শ লোক সংক্রমিত হচ্ছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ আসছে, নমুনা দিতেই সময় লেগে যাচ্ছে দুই দিন। তারপর টেস্ট রিপোর্ট পেতে আরো দুই দিন। এমন বাস্তবতায় কবে নাগাদ টেস্টের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে পারবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর? তা তারাই জানে না।
[৩] এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছে ঢাকা ও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে বুথ বসাবে নমুন সংগ্রহের জন্য। কিন্তু তাদের এই কথার কোনো প্রতিফলন নেই রাজধানী জুড়ে। তবে জানা গেছে ব্রাকের সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরি করা হবে এসব বুথ। এতে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করবেন তাদের বেতন ও নিয়োগ দেবে ব্রাক।
[৪] ইতমধ্যে ব্রাক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোঅ্যানটারোলজি হাসপাতালে একটি এবং গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতলে একটি বুথ বসিয়েছে। যার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দুটি নষ্ট। একটিতে কাজ চলছে।
[৫] এখনো ঠিক হয়নি ঢাকার কোন কোন স্থানে বুথ বসানো হবে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর সারাদেশের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে হযবরল সৃষ্টি হয়েছে। অন্যজন বলেন, উন্মুক্ত স্থানে নাকি কোনো অফিস ভাড়া বা সরকারের স্থাপনা ব্যবহার করে এই বুথ বসানো হবে তাও জানেনা অধিদপ্তর। কিন্তু বুথ বসানোর তোরজোর বেশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :