ফরিদ কবির : ক্ষমতাসীন একটি শক্তিশালী দলের কবি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করাটা যে বাহাদুরির বিষয়, সেটাও করোনাকালে জানা হলো একজন লেখক বা কবির নিজের লেখার বাইরে আরও একটা জিনিস থাকতে হয়। সেটার নাম মেরুদ-। নিজের নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে নিজেকে মেরুদ-হীন প্রমাণ করে ফেলার পর নিজেকে মেরুদ-হীন ঘোষণা করার মধ্যে কোনো সততা নেই। এর মধ্যে কোনো সাহসও আমি দেখি না। এর মাধ্যমে ক্ষমতার খুঁদ-কুঁড়া খাওয়ার সুবিধা বরং আরও ভরপুর হয়। কবি-লেখকের কোনো দল থাকতে নেই। তাদের দল একটাই। নিপীড়িত মানুষ। নিপীড়িত জনগণ। কোনো কবি-লেখক যখন কোনো দলের হন, তখন তিনি কার্যত অন্ধই। তার মানে, দলের পায়েসও তিনি খেতে চান। দলের আলকাতরাও। আমাকে প্লিজ বোঝান, আমি ক্ষমতাসীন দলের লোক এ কথা বলার মধ্যে সাহসের কী আছে? এ মুহূর্তে আমি ক্ষমতাসীন দলের লোক নই বলার মধ্যেই সাহস বেশি নিহিত। এটা আমাদের বাঙাল কবি- লেখকরা কবে বুঝবে? আপনি আওয়ামী লীগের সমর্থক এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে সেটা হওয়া উচিত কেবল ভালো কাজের। কিন্তু দল মন্দ কোনো কাজ করলে তার সমর্থন আপনি কেন করবেন? সে বিষয়ে মুখ বুঁজে থাকাটাও আসলে মন্দ কাজের প্রতি এক প্রকারের সমর্থনই। আপনি সেটার সমালোচনা না করলে বুঝতে হবে আপনি দলের দালালে পরিণত হয়েছেন। একটি দলের প্রকৃত সমর্থক তারাই, যারা সেই দলের মন্দ কাজের যথার্থ সমালোচনা করতে পারেন। দলকানা লোকদের সেই ক্ষমতা থাকে না। নির্মলেন্দু গুণ কবি ছিলেন। এখন দলের দালাল হয়েছেন। দালালরা একটি দলের জন্য সবসময়ই লায়াবিলিটি। কিছুতেই এসেট নয়। না আবারও বলছি, কিছুতেই নয়। কারণ তারা দলকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে অক্ষম। তারা প্যারাসাইটের মতো। দলের রস খেয়ে নিজে পুষ্ট হয়। কিন্তু দলকে কিছুই দিতে পারে না। আওয়ামী লীগের সমস্যা একটাই। এ দলটি প্যারাসাইট ও প্রেমিকের তফাৎ বোঝে না। ফেসবুক থেকে