শাহীন খন্দকার : [২] কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক বাজারজাত করতে প্রায় দেড় বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ ওষুধ প্রাণী ও মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে তার ফলাফল পেতে বেশ সময় লাগে। এই সময়কে আরো কমানোর জন্য চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। ডা. সফি আহমেদ বলেন, দেশিয়ভাবে উৎপাদন বিদেশ থেকে আমদানি করা এমনি নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা করে চলেছে সরকার।
[৩] ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ জানান , সারা বিশ্বেই হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই কোভিড-১৯ রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে, আক্রান্তদের প্রতি ছয় জনের মধ্যে গড়ে এক জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
[৪] তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ফুসফুসের। শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জন্য বেশি সংখ্যায় রক্তকোষ সেখানে পাঠাতে থাকে। এতে রক্তনালিগুলো ফুলে ওঠে। এতে অন্য একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে তরল ঢুকে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে শ্বাস নেয়া আরো কঠিন হয়ে ওঠে। শরীরের অক্সিজেনের জোগান তাতে কমে যায়। অক্সিজেনের জোগান বাড়াতেই দরকার পড়ে ভেন্টিলেটরের।
[৫] এটি অক্সিজেনযুক্ত হাওয়া পাম্প করে ঢোকায় নাক দিয়ে। ভেন্টিলেটরের হাওয়ার তাপমান ও আর্দ্রতা যাতে রোগীর দেহের সঙ্গে মেলে, তার জন্য ভেন্টিলেটরে থাকে হিউমিডিফায়ার নামে একটি অংশ। শ্বাস নেয়া ও ছাড়ার সঙ্গে যুক্ত পেশিগুলোর ওপরে চাপ কমাতে বা সেগুলো শিথিল রাখতে প্রয়োজন মতো ওষুধও দেয়া হয়। এতে রোগী ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে তাকে পরাজিত করার জন্য বাড়তি সময় পেয়ে যান।
[৬] তিনি বলেন, শ্বাসকষ্ট অল্প হলে সাধারণ (নন-ইনভেসিভ) ভেন্টিলেশনেই কাজ হয়। এ ক্ষেত্রে নাকে-মুখে একটি মাস্ক লাগিয়ে অক্সিজেনযুক্ত হাওয়া বাড়তি চাপে পাঠানো হয়। কিন্তু (মেকানিক্যাল) ভেন্টিলেটরে দিলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে এই যন্ত্রটির হাতে। আর এ জন্যই চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদের সার্বক্ষণিক নজরদারি প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলোতে যখন রোগীর চাপ বাড়তে থাকে তখন রোগীর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ভেন্টিলেটরের গুণমান সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হওয়াটাও জরুরি।