ইমরুল শাহেদ : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে শ্রীলংকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যখাত ও অর্থনৈতিক সংকট। শ্রীলংকায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬১৯ জন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭ জন। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে গিয়েও দেশটিতে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিশৃংখলা। ইয়ন, নিউ এ্যাজ
[৩] কয়েকদিন আগে নৌবাহিনীর একটি স্থাপনায় ৩০ জন আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এখন আবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে দেশটিতে। কলম্বো শহরেই ১৫০ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা পলিমেরাসে চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং প্রতিদিন ১০০ পিসিআর পরীক্ষা করছেন।
[৪] লকডাউনের কারণে এখন পার্লামেন্টেরও কোনো কার্যক্রম নেই। এজন্য দেশটিতে অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী মানগালা সামারাউইয়েরা আর্থিক সংকট এড়ানোর জন্য দ্রুতই পার্লামেন্ট বৈঠক ডাকার আহবান জানান। শ্রীলংকা পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা ২২৫ জন।
[৫] মানগালা সামারাউইয়েরা এক পত্রে প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘এই মহামারীর সময় যদি এটা না করা যায় তাহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।’
[৬] বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে লকডাউনের দোহাই দিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে যেতে চাইছেন। তিনি চাইলে জরুরিভিত্তিতে পার্লামেন্ট বৈঠক ডাকতে পারেন। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা হয়েছে।
[৭] সাবেক সংসদ সদস্য হর্ষ ডি সিলভা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন প্রশ্ন হলো তারা পার্লামেন্ট চায় কিনা। আমার কাছে মনে হয়, তারা পার্লামেন্ট ছাড়াই এগিয়ে যেতে চায়।’
[৮] প্রেসিডেন্ট সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, নাগরিকদের মঙ্গলের জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :