রাজু আলাউদ্দিন: [২] আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, পোশাক কারখানা খুলে দেয়ায় বেড়েছে ঢাকায় প্রবেশের প্রবণতা। এছাড়া নানা অজুহাতে রাজধানী থেকে বেরও হচ্ছেন মানুষ। কোথাও কোথাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নজরদারি না থাকায় বাধাহীনভাবে ছিল চলাচল।
[৩] ভর দুপুরে সূর্য মাথার উপর। সাভারের নবীনগর তখন গাড়ির জন্য অপেক্ষায় পোশাক শ্রমিক সাবিনা। সাভারের হেমায়েতপুরের যে পোশাক কারখানায় কাজ করেন তা চারদিন আগে খুলেছে। তাই পেটের দায়ে কোলের ৯ বছরের ছোট্ট শিশুকে নিয়ে জামালপুর থেকে ছুটে এসেছেন।
[৪] বুধবার সকাল থেকেই গাবতলী-আরিচা মহাসড়কে যাদের আসতে দেখা গেছে তাদের বেশিরভাগই পোশাক শ্রমিক। গণপরিবহন না থাকায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশা কিংবা পণ্যবাহী ট্রাকে করে ভেঙে ভেঙে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। কেউ কেউ টাকা না থাকায় পায়ে হেঁটেও এসেছেন। আর অনিরাপদ ভেবে দুই একজনকে চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যান চলাচল। যেকোনো অজুহাতে ঢাকায় ঢোকা আর বের হওয়া চলছে।
[৫] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের এমন চলাচল অব্যাহত থাকলে কখনোই করোনা রোধ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। সময় টিভি