শিরোনাম
◈ আগামী নির্বাচনে কেউই একক নয়—জোট-সমীকরণে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল ◈ চরম সংকটে থাকা যে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে (ভিডিও) ◈ নতুন সভাপতি নিয়োগ ২১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, দেখুন তালিকা ◈ টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার দাবি ‘সম্পূর্ণ অসত্য’: দুদক ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ অব্যাহত, সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মেডিক্যাল বোর্ড ◈ এবার মাহাথির মোহাম্মদ পুলিশ রিপোর্ট করলেন অনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে! ◈ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত, বুধবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা ◈ নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট আসছে বৃহস্পতিবার বাজারে ◈ আফ্রিকা হতে পারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির হাব ◈ খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন তিন বাহিনী প্রধান

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৪৬ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]আইসোলেশন, লকডাউন সবই ছিল তিন হাজার বছর আগের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে

বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] চরক সংহিতায় বিমানস্থান তৃতীয় অধ্যায়ে এপিডেমিক বা ‘জনপদ ধ্বংসনীয় বিমান’ নামের একটি অংশ রয়েছে। শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘রাসায়নানাং বিধিবচ্চোপযোগঃ প্রশস্যতে’। অর্থাৎ রোগ প্রতিবিধানে বার বার গরম জলে স্নান ও নিজেকে রাসায়নিক দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখলে ও রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করলে ভাইরাসকে মেরে ফেলা সহজ হয়। সূত্র আনন্দ বাজার

[৩] ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রের ‘অষ্টাঙ্গহৃদয়’-এর শ্লোকে ২১ দিনের লকডাউনের বিষয়টিও স্পষ্ট করা আছে। সেখান ৬৫ নম্বর শ্লোকে লেখা রয়েছে, ‘একবিংশোতিরাত্রেন বিষং শ্যাম্যতি সর্বথা’। অর্থাৎ যে কোনও বিষের (জীবাণু) প্রভাব কমে ২১তম দিনে। অর্থাৎ, বিষ বা জীবাণুতে আক্রান্ত রোগীকে ২১ দিন ঘরবন্দি রাখলে সে বিষ আর বাইরে সংক্রামিত করতে পারে না।

[৪]চরক সংহিতা’র টিকাকার চক্রপানি দত্ত রোগের তিন প্রকার কারণসমূহ বলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম, ‘অভিষঙ্গজ হেতু’। অর্থাৎ ভাইরাসের আক্রমণ। এই অভিষঙ্গজ বিষয়ে ‘সুশ্রুত সংহিতা’-র ৬ নং অধ্যায়ের ৩২ ও ৩৩ নম্বর শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘‘প্রসঙ্গাদ গাত্রসংস্পর্শাৎ নিশ্বাসাৎ সহভোজনাৎ।/ সহশয্যাসনশ্চাপি বস্ত্রমাল্যানুলেপনাৎ।।’’ অর্থাৎ ভাইরাস আক্রান্তকে ছোঁয়ার মাধ্যমে, তার হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে, তাঁর সঙ্গে বসবাস, একই থালায় খাওয়া, একই বিছানায় শোওয়ার মতো কাজ করলে সুস্থ মানুষও তাঁর সংস্পর্শে এসে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই শ্লোকেই শেষের দিকের পঙ্িক্ততে বলা হয়েছে, ‘‘ঔপসর্গিক রোগশ্চ সংক্রমন্তি নরানরং।’’ অর্থাৎ, উপসর্গগুলি এক জনের থেকে অন্য জনে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

[৫]চরক সংহিতায় তিন প্রকার ইমিউনিটি-র (আয়ুর্বেদের ভাষায় ‘বল’) কথা রয়েছে বলমিতি সহজং, কালজং ও যুক্তিবৃতঞ্চ। যে কোনও ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দেহের জন্মগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কাল বা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও টিকার মাধ্যমে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়