শিরোনাম
◈ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে বর্ণবাদের দুর্গন্ধ, ইলহান ওমরকে আবর্জনা বললেন ‌ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সারাদেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে সরকার  ◈ পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা এনওসি পাচ্ছে না, বিপাকে পড়তে পা‌রে বিপিএল  ◈ বাফুফে ৪ কোটি টাকার বেশি আয় কর‌লো এশিয়ান কাপ বাছাই’র তিন ম্যাচ থেকে ◈ এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট ◈ রাজনী‌তি‌তে চল‌ছে সমীকরণ, জোটে যাওয়া নিয়ে এনসিপিতে নানা মত ◈ বিপিএলে নোয়াখালী‌তে খেল‌বেন মোহাম্মদ নবি, সিলেটে সালমান  ◈ বাংলাদেশে পথকুকুর বা বিড়াল হত্যায় কী শাস্তি রয়েছে? ◈ মে‌ক্সি‌কোর বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে শত শত ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার ◈ চি‌কিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত, তবে ওষুধে রেসপন্স করছেন

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৪৬ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]আইসোলেশন, লকডাউন সবই ছিল তিন হাজার বছর আগের আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে

বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] চরক সংহিতায় বিমানস্থান তৃতীয় অধ্যায়ে এপিডেমিক বা ‘জনপদ ধ্বংসনীয় বিমান’ নামের একটি অংশ রয়েছে। শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘রাসায়নানাং বিধিবচ্চোপযোগঃ প্রশস্যতে’। অর্থাৎ রোগ প্রতিবিধানে বার বার গরম জলে স্নান ও নিজেকে রাসায়নিক দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখলে ও রাসায়নিক ওষুধ প্রয়োগ করলে ভাইরাসকে মেরে ফেলা সহজ হয়। সূত্র আনন্দ বাজার

[৩] ভারতীয় আয়ুর্বেদশাস্ত্রের ‘অষ্টাঙ্গহৃদয়’-এর শ্লোকে ২১ দিনের লকডাউনের বিষয়টিও স্পষ্ট করা আছে। সেখান ৬৫ নম্বর শ্লোকে লেখা রয়েছে, ‘একবিংশোতিরাত্রেন বিষং শ্যাম্যতি সর্বথা’। অর্থাৎ যে কোনও বিষের (জীবাণু) প্রভাব কমে ২১তম দিনে। অর্থাৎ, বিষ বা জীবাণুতে আক্রান্ত রোগীকে ২১ দিন ঘরবন্দি রাখলে সে বিষ আর বাইরে সংক্রামিত করতে পারে না।

[৪]চরক সংহিতা’র টিকাকার চক্রপানি দত্ত রোগের তিন প্রকার কারণসমূহ বলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম, ‘অভিষঙ্গজ হেতু’। অর্থাৎ ভাইরাসের আক্রমণ। এই অভিষঙ্গজ বিষয়ে ‘সুশ্রুত সংহিতা’-র ৬ নং অধ্যায়ের ৩২ ও ৩৩ নম্বর শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘‘প্রসঙ্গাদ গাত্রসংস্পর্শাৎ নিশ্বাসাৎ সহভোজনাৎ।/ সহশয্যাসনশ্চাপি বস্ত্রমাল্যানুলেপনাৎ।।’’ অর্থাৎ ভাইরাস আক্রান্তকে ছোঁয়ার মাধ্যমে, তার হাঁচি-কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে, তাঁর সঙ্গে বসবাস, একই থালায় খাওয়া, একই বিছানায় শোওয়ার মতো কাজ করলে সুস্থ মানুষও তাঁর সংস্পর্শে এসে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই শ্লোকেই শেষের দিকের পঙ্িক্ততে বলা হয়েছে, ‘‘ঔপসর্গিক রোগশ্চ সংক্রমন্তি নরানরং।’’ অর্থাৎ, উপসর্গগুলি এক জনের থেকে অন্য জনে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।

[৫]চরক সংহিতায় তিন প্রকার ইমিউনিটি-র (আয়ুর্বেদের ভাষায় ‘বল’) কথা রয়েছে বলমিতি সহজং, কালজং ও যুক্তিবৃতঞ্চ। যে কোনও ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দেহের জন্মগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কাল বা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও টিকার মাধ্যমে অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়