গোলাম মোর্তোজা : গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম যা করলেন, তা যদি আমাদের এলিট মেয়রদের কেউ করতেন, সংবাদমাধ্যম তাদের আকাশে তুলে দিতো। প্রচলিত এলিটের সংজ্ঞায় জাহাঙ্গীর আলম পড়েন না। সে কারণে তিনি অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সেটা হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। তিনি যা করছেন, তা সংবাদে স্থান পায় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যেদিন প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন, এন-৯৫ মাস্ক আমেরিকা তৈরি করে এবং তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরের দিন জাহাঙ্গীর আলম চীন থেকে উড়োজাহাজ ভর্তি করে ২০ হাজার এন৯৫ মাস্কসহ প্রয়োজনীয় বহু সরঞ্জাম দেশে নিয়ে এলেন। চিন্তা করেন তো অদৃশ্য হয়ে যাওয়া এলিট মেয়রদের কেউ যদি এমন বা এর এক শতাংশও করতেন, কেমন প্রচার হতো।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সামনের সারিতে ছিলেন গরিব মানুষেরাই। জীবন দেওয়ার সংখ্যায় তারাই ছিলেন এগিয়ে। কিন্তু প্রায় ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশে তারা হয়ে গেছেন প্রজা। দেশটার মালিক হয়ে গেছে অল্প কিছু সংখ্যক এলিট-ভিআইপি। প্রজারা খাদ্য কষ্টে ভুগছেন, এলিট-ভিআইপিরা নিজেদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল তৈরি করছেনÑ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। ভিআইপি-এলিটদের শক্তির উৎস দলান্ধ তোষামোদকারীরা। তাদের সব অপকর্মের সমর্থক তোষামোদকারীরা কী জানে, এলিট-ভিআইপিরা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন সেখানে তাদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। নিজে বা স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হলেও নয়। ফেসবুক থেকে