প্রভাষ আমিন : বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূল অস্ত্র মিথ্যাচার। ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা জোবায়ের আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করে। করোনার সতর্কতার সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আয়োজন করা এই জানাজা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রবল ঢেউ তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। সেদিন দুপুরে ঢাকার বনানীতে অনুষ্ঠিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক কৃতী সন্তান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মায়ের জানাজা। পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ শদুয়েক লোক জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে লাল চিহ্ন দেওয়া হয়। অথচ জানাজার নামে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশের অপকর্মকে আড়াল করতে এই গোষ্ঠীটি প্রপাগান্ডা ছড়ায় যে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজায় হাজার হাজার লোক এসেছে। যেহেতু আনসারীর পরে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজা হয়েছে, তাই সেটি বেশি অপরাধ। কিন্তু ইসলামকে হেয় করতে সবাই আনসারীর জানাজার সমালোচনা করছে। প্রমাণ হিসেবে তারা একটি ভিডিও প্রচার করে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজায় মোটেই হাজার হাজার লোক হয়নি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা হয়েছে। আর যে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে, সেটিও ভুয়া। এই গোষ্ঠীটি নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে এবং মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। অবশ্য সাঈদীকে যারা চাঁদে দেখে বা পবিত্র মক্কা শরীফের গিলাফ পরিবর্তনের ছবিকে যারা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের ছবি বলে চালিয়ে দেয় তাদের পক্ষে সবই সম্ভব। নির্বাচনে যিনি ১৬০০ ভোট পান, লকডাউনের মধ্যে সেই আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণ যে স্রেফ ভালোবাসার কারণে হয়নি, ষড়যন্ত্রের অংশ, তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফেসবুক থেকে