শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ওএমএস চালচোরদের দিন শেষ! [২] ডিজিটাল কার্ডে বিক্রির ব্যবস্থা

নজরুল ইসলাম: [৩]ওএমএস’র চাল নিয়ে দুর্বৃত্তদেও ‘চালবাজি’ বন্ধ করে দেওয়ার পথ দেখিয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা নিপা। একটি সহজ পদ্ধতিতে কালিহাতি উপজেলার দুটি পৌরসভার ২৪০০ কর্মহীন মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে চাল।

[৪] ইউএনও জানান, ওএমএস চাল বিক্রি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে জালিয়াতির মাধ্যমে ডিলারদের বিক্রি দেখানো এবং অসৎ ক্রেতাদের একাধিকবার নির্ধারিত পরিমাণ চাল (প্রতিবার ১০ কেজি) উত্তোলন। তিনি এই সুযোগটি বন্ধ করার জন্য তথ্যভাÐার তেরি করেছেন। সেখানে যাদের জন্য চাল বিক্রির কার্যক্রম, ডিলার বা বিক্রেতার নাম ও ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে। আর ক্রেতাদের দেওয়া হয়েছে কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল কার্ড।

[৫] এই কাজে তিনি স্থানীয় কলেজছাত্র আল আমিন ও তার দলের সদস্যদের সহযোগিতায় বানিয়ে নিয়েছেন একটি অ্যাপস। রাতদিন কাজ করেছেন তারা। ওএমএস ডিলাররা মোবাইল ফোনে এই অ্যাপস ইনস্টল করে নিয়েছেন। কোনও ক্রেতা চাল কিনতে এলে তার কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করে পরিচয় যাচাই করবেন তারা। এতে দুই পক্ষের তথ্যই খুব সহজেই তদারকি সম্ভব।

[৬] ইউএনও জানান, ওএমএস’র চাল একজন ক্রেতা কি পরিমাণ কিনতে পারবেন, সেটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আছে, আবার বিক্রেতা বা ডিলার কি পরিমাণ চাল বিক্রি করবেন, সেটার পরিমাণও নির্দিষ্ট। ডিলার চাইলেই এক্ষেত্রে কার্ড ছাড়া অন্যত্র চাল বিক্রি করতে পারবেন না।

[৭] ইউএনও বলেন, শুধু তাই নয়, এই অ্যাপস চলমান করোনাকালে মানুষকে সুরক্ষা দিতেও সক্ষম। যেহেতু ডিলাররা অ্যানড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে অ্যাপে একবার লগইন করেই কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করে চাল বিক্রি করবেন। সঙ্গে সঙ্গেই তা ইলেক্ট্রনিক হিসেবের আওতায় চলে আসবে, ফলে ডিলারদের কাগজে-কলমে মাস্টাররোল তৈরির ঝামেলা ও টিপসই নেওয়ারে মুহূর্তে ভাইরাস সংক্রমণের যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তা অনেকটাই কমে যাবে।

[৮] এতদিন চালের ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণ ঠিকভাবে যাচাই করা হতো না। ফলে নানা ধরনের নেতিবাচক ঘটনার খবর আসতো। এখন শামীম আরা নিপার পদ্ধতিতে সহজেই এই তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে কেউ চাইলেই অতি সহজে দুর্নীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন সরকারি এক কর্মকর্তা।

[৯] ইউএনও’র কথায়, সবকিছুই ‘নষ্টদের দখলে’ যায়নি আজও। আর যায়নি বলেই স্বপ্নটা মোটা দাগেই দেখার সাহস পাচ্ছি। চলমান করোনাকালে ওপেন মার্কেট সেল (ওমমএস)- এর জন্য ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে বহু ‘নয়-ছয়’ ঘটেছে। ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার সুযোগটিই বারবার গ্রহণ করা হয়েছে এসব ক্ষেত্রে।

[১০] ১৯ এপ্রিল এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কালিহাতি পৌরসভায় ২৪০০ কর্মহীন মানুষের কাছে ১০ টাকা কেজির ওএমএস চাল বিক্রি করা হয়েছে।

[১১] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গত এক দশকে আমরা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বহু দরকারি ও বেদরকারি অ্যাপসের ‘ভানুমতির খেল’ দেখেছি। কিন্তু, মানুষের প্রয়োজনে এসব অ্যাপসের মোট কতগুলো কাজে লেগেছে, সেটা গবেষণার দাবি রাখে। এটুআই এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় এই ঘোর দুর্দিনে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার ইউএনও শামীম আরা নিপার দেখানো পথটিকে পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়