আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩] বাতিল হওয়া ইফতার থেকে শুরু করে স্থগিত নামাজের জামাত। মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীর মুসলমানরা এক নিকষ কালো, বেদনায় ভরা রমজান মাসের অপেক্ষায় আছেন। পৃথিবীর বুকে আর কোনও রমজান বোধহয় এতটা কষ্ট নিয়ে আসেনি। এএফপি, মিডল ইস্ট মনিটর।
[৩] রমজান মুসলমানদের জন্য যেমন আত্ম উপলব্ধির মাস, তেমনি এটি সামজিক বন্ধন বৃদ্ধিরও সময়। মুসলমানরা এই পবিত্রতম সময়ে সবাই একে অপরের সঙ্গে নিজের ইফতার ভাগ করে নেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাবির নামাজ পড়েন।
[৪] এ বছরের মতো কখনই রমজান এমন শঙ্কায় পরেনি। পুরো মধ্যপ্রাচ্যে কোটি কোটি মানুষ লকডাউন অবস্থায় রয়েছেন। যেই দক্ষিণ এশিয়ায় পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস, সেই অঞ্চলটিও লকডাউন। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান পৃথিবীর বৃহত্তম ৩ মুসলিম দেশই লকডাউনের আওতায় রয়েছে। মসজিদগুলোও বন্ধ।
[৫] সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আব্দুলাজিজ আল-শেখ সকলকে বাড়িতে বসে তারাবারি নামাজ ও রমজানের ইবাততের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি ঈদের নামাজও বাড়িতে পড়তে বলেছেন। ইন্দোনেশিয়াও একই নির্দেশনা দিয়েছে। পাকিস্তান স্বল্প পরিসরে নামাজের অনুমতি দিলেও তা কার্যকর করা যাবে কিনা বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ এখনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না দিলেও সব মসজিদই একরকম বন্ধ।
[৬] মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন আলি মুল্লা বলেন, ‘আমাদের হৃদয় কাঁদছে। আমরা সারাদিনই পবিত্র এই মসজিদে মানুষের ভীড় দেখে অভ্যস্থ। আমি জানি আমার কেমন লাগছে। সারা পৃথিবীর মুসলমানদের বলছি, আল্লাহ চান আপনারা বাড়িতে থাকুন। বাড়িতে থেকে ইবাদত করুন। সারা পৃথিবীর সুস্থতার জন্য দোয়া করুন।’